কলকাতা: গরম পড়তেই দাপট বাড়ে মশার। আর এই সময়েই আশঙ্কা বাড়ায় একাধিক মশাবাহিত রোগও। এই সময়েই দাপট বাড়ে ডেঙ্গিরও। ভারতের একাধিক রাজ্য়ে প্রতিবছর ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। গ্রীষ্মকাল (Summer) থেকে বর্ষাকালের পুরো সময়টা জুড়ে ডেঙ্গির দাপট চলে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি (Delhi) থেকে কলকাতা একাধিক জায়গায় ডেঙ্গির সমস্যা দেখা যায়।
ডেঙ্গি (Dengue) কী?
মশাবাহিত একটি সংক্রমণ। যা কোনও কোনও সময় প্রাণঘাতীও হতে পারে। শিশু থেকে বয়স্ক যে কারও ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ হতে পারে। দীর্ঘদিন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একাধিক আনুষাঙ্গিক সমস্য়াও দেখা যায়।
উপসর্গে নজর:
একাধিক উপসর্গ দেখা যায় ডেঙ্গিতে। সবক্ষেত্রেই জ্বর দেখা যায়। হাই ফিভার (High Fever) স্বাভাবিক উপসর্গ। তার সঙ্গেই প্রবল সর্দি (Cough) ও ঠান্ডা লাগে। এছাড়া আরও কিছু কিছু উপসর্গ রয়েছে ডেঙ্গির। সেগুলি কী কী?
মাংসপেশি এবং শরীরের বিভিন্ন গাঁটে অসম্ভব ব্যথা
সারা গায়ে rash দেখা যায়
অনেকের প্রবল মাথাব্যথা (headache) হয়ে থাকে
চোখে এবং চোখের পিছনে ব্যথা
বমি (Vomiting ) এবং মাথাঘোরার সমস্যা দেখা যায়
কী কারণ?
মশার মাধ্যমে ছড়ায় এই রোগ। মূলত এডিস ইজিপ্টাই (Aedes aegypti) নামক একটি মশার মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়। এখনও এই রোগ প্রতিরোধে কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি। ফলে মশা থেকে বাঁচাই একমাত্র উপায়। মূলত দিনের বেলা কামড়ায় এই মশা। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন ভোর ও সন্ধেবেলা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয় এই মশা।
চিকিৎসা কীভাবে?
মূল রোগের কোনও ওষুধ এখনও নেই। ফলে রোগের আক্রান্তদের উপসর্গের (Symptoms) চিকিৎসা করা হয়। এমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয় যাতে জটিলতা না বাড়ে। মূলত জ্বরের মাত্রা লাগামে রাখা এবং শরীরে জলের পরিমাণ কমতে না দেওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখেন ডাক্তাররা। তার সঙ্গেই প্লেটলেটের দিকেও নজর রাখা হয়। ডেঙ্গি আক্রান্তদের প্লেটলেট হঠাৎ করে কমে যায়। সেই কারণেও প্রাণঘাতী হতে পারে সংক্রমণ।
রোগ দূরে রাখতে:
যেহেতু এই রোগের কোনও ওষুধ নেই। তাই রোগ প্রতিরোধ করাই আসল অস্ত্র। মশা রুখতে প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তার সঙ্গেই সচেতনতার বার্তাও দেওয়া হয়। যেগুলি হল,
ড্রামে যেন জল না জমে
কোনও জায়গায় যেন দীর্ঘদিন বর্জ্য জমে না থাকে
প্রয়োজনে মশার নেট ব্য়বহার করা হয়
প্রয়োজনে মশারির ব্যবহার, মশা রেপেল্যান্টস ব্যবহার করতে হবে
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।