নয়াদিল্লি: বাচ্চা হোক কিংবা বয়স্ক, সবার ডায়েটেই সহজেই জায়গা নেয় ডিম (egg)। পুষ্টিবিদ থেকে ডাক্তার, সকলেই পুষ্টির প্রয়োজনে ডিম খেতে বলেন। কিন্তু, ডিম কি সকলের জন্য পুষ্টিকর? সবার কি ডিম খাওয়া উচিত? এই প্রশ্ন সকলের মনেই ঘোরাফেরা করে।
কী প্রশ্ন:
অনেকে আশঙ্কা করে থাকেন, বেশি পরিমাণে ডিম থেকে কোলেস্টেরলের (cholesterol) আশঙ্কা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, হার্ট (Heart) ও ধমনী সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি করে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, ডিম থেকে যে কোলেস্টেরল মেলে তা ক্ষতিকারক নয়। খাদ্যদ্রব্য থেকে যে পরিমাণে কোলেস্টরল পাওয়া যায়, তা আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ নয়। ঠিক তেমনই ডিমের কোলেস্টেরলও ক্ষতিকারক নয় । কিন্তু ডিম ভাজা, কেকে ব্যবহৃত ডিম থেকে পাওয়া কোলেস্টেরলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংসের (Processed Meat) থেকে যে কোলেস্টেরল আসে সেগুলি সমস্যা তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোলেস্টেরল অক্সিডাইজড হয়ে গেলে তা ধমনীতে বাধা তৈরি করে।
কী পরামর্শ:
যদি কারও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে, তিনি যদি শরীরচর্চা করে থাকেন। সুস্থ জীবনযাপন করে থাকেন। তাহলে প্রতিদিন একটি করে ডিম সহজেই খাওয়া যায়। যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, বা সেই অর্থে শরীরচর্চা হয় না। তাঁদের ক্ষেত্রে ডিম এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অথবা ডিম খেলেও কুসুম বাদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
ডিমে কী কী গুণ?
ভরপুর প্রোটিনের (Protein) উৎস
নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে
ডিম ক্যালশিয়াম জোগান দেয়
রক্তাল্পতায় (anemia) ভুগলেও ডিম উপকারী
একাধিক অ্যামাইনো অ্যাসিড (amino acid) এবং খনিজ পদার্থ থাকে ডিমে
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: খেলাধুলোয় বাড়বে মনোযোগ, দাবি নয়া গবেষণায়