কলকাতা : নিষেধাজ্ঞা তো আছেই। কিন্তু তারপরই নিয়ম না মানার চিত্র দেখতে অভ্যস্ত চোখ। কিন্তু এবার দীপাবলিতে বাচ্চার হাতে ফুলঝুরি কিংবা রং মশাল ধরানোর আগে একবার ভাবুন ! থামুন! নিজেকে আটকান ! সন্তানকে বাঁচান। বলছেন চিকিৎসকরা। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অগ্নিমিতা গিরি সরকার বারবার সাবধান করলেন, করোনা সঙ্কট এমনিতেই চরমে। এর উপর বাজির বিষবাষ্প দোসর হলে, বায়ু দূষণের জেরে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা চিকিৎসকের। চিকিৎসক সরকার জানালেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় এমনিতেই শিশুদের নানারকম সমস্যা দেখা যায়। তারমধ্যে বাজির ধোঁয়া দোসর হলে ঘটতে মাত্রা বাড়তে অসুস্থতার। যেমন শিশুদের



- ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজ়মা ( bronchial asthma ) 
-  অ্যালার্জিক ব্রঙ্কাইটিস (allergic bronchitis)
-  ব্রঙ্কিওলাইটিস (bronchiolitis) দেখা যেতে পারে। 
-  ভাইরাসের আক্রমণে শ্বাসপ্রশ্বাসে বড় সমস্যা দেখা যেতে পারে।

বৃদ্ধ হোক বা শিশু - বিপদ সবার। কোভিডে যাঁরা আগেই  আক্রান্ত হয়েছেন, যাঁদের ফুসফুস এমনিতেই ঘায়েল, তাঁদের পক্ষে ধোঁয়া বিষের থেকে কম কিছু নয় ! এমনিতেই মরসুম বদলের সমস্যায় সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগে অধিকাংশ শিশু। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভয়ঙ্কর ভিড় দেখে চিকিৎসকরা এগিয়ে এসেছিলেন পুজোর মাঝেই। বারবার উল্লাস নিয়ন্ত্রণে রাখার আর্জি জানান। স্মরণ করিয়ে দেন দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা। কিন্তু সে আর্জিতে লাভ যে তেমন হয়নি, বলেছে উৎসব চিত্র ! তারপরই এ রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে সংক্রণ । এরপর বাজি পুড়িয়ে আর বিপদ না বাড়ানোর আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা। বরং পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ান, আবেদন ডা. অগ্নিমিতার।

কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে সিজন চেঞ্জের সময় বায়ুদূষণের বিপদ, দুশ্চিন্তায় ফেলছে চিকিৎসকদের। চিকিৎসকরা বলছেন, কালীপুজোর সময় যেভাবে বাজি পোড়ানো হয়, তাতে শিশুর ফুসফুসে সমস্যা হতে পারে। কিংবা যে সমস্ত বাচ্চার ঠাণ্ডা লাগার ধাত রয়েছে, বাজির বিষাক্ত ধোঁয়া সেই বিপদ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।  আলোর উৎসবের পরই স্কুল খুলছে রাজ্যে। শিশুরা এখনও করোনার ভ্যাকসিনও পায়নি। এর মধ্যে উসবের উল্লাস যেন ভয়ঙ্কর সময় না ডেকে আনে, আর্জি চিকিৎসকমহলের।