Nonalcoholic fatty liver disease :
শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার । সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ চর্বি শোষণ করতে পারে যকৃত। কিন্তু তার থেকে বেশি চর্বি জমা হলে তা বিপজ্জনক। সময় মতো চিকিত্সা না করালে এই অসুখ ভয়ঙ্কর পরিণতি বয়ে আনতে পারে। হতে পারে সিরোসিস অব লিভারও ! ফ্যাটি লিভারের কয়েকটি স্টেজ আছে। গ্রেড টু-তে পৌঁছলে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে যেতে হবে। নইলে সমস্যা খারাপ দিকে গড়াতে পারে।
- কাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায় ?
- যাঁরা ওবেসিটির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের এই অসুখের সম্ভাবনা বেশি।
- এছাড়া ডায়াবেটিস যাঁদের আছে, তাঁদেরও ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
- খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা বেড়ে গেলে সতর্ক হতে হবে।
- প্রস্রাবের রং হলুদ ? অতিরিক্ত দুর্গন্ধ? পরীক্ষা করান।
- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে সতর্ক হোন।
- ওজন বেড়েই চলেছে ?
- ভুঁড়ি কমাতে পারছেনই না ?
- ডায়েট চার্টে কী কী পরিবর্তন আনা আবশ্যক ?
ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিক জানালেন , এই অসুখের ক্ষেত্রে ডায়েট ও জীবন শৈলির দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি । খাবার সময় খেয়াল রাখতে হবে - - রিফাইনড সুগার এড়িয়ে চলতে হবে
- রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ময়দা এড়িয়ে চলতে হবে।
- চিনি এড়িয়ে চলুন
- চকোলেট , পেস্ট্রি বাদ রাখুন
- ঘি, মাখন, ডালদা, মার্জারিন এড়িয়ে চলতে হবে
- অ্যালকোহল কমিয়ে আনতে হবে ।
- সবুজ শাকসবজি খেতে হবে ।
- ফাইবার রিচ খাবার খেতে হবে।
- নানারকম ডাল খেতে পারেন ।
- নানা ধরনের বাদাম বা বাদাম থেকে তৈরি বাটার খেতে পারেন। যেমন পি-নাট বাটার ।
- ওটস , আটা, মাল্টিগ্রন আটা খেতে পারেন।
- রান্নায় হলুদ ও আদা থাকলে ভাল।
- পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।
- গ্রেড টু ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে পার্সোনালাইজড ডায়েট চার্ট দরকার।
সাবধান না হলে এই অসুখ জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এর জেরে লিভারের বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। তাই শুরুতেই সতর্ক হোন।
- ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিক