বেজিং: বিভিন্ন কারণে নানাভাবে মানসিক চাপের মুখোমুখি হন অনেকেই। বিশেষ করে কোভিডের সময়ে অনিশ্চিত জীবন ও জীবিকার কারণে বহু মানুষই প্রবল চিন্তার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। এছাড়াও নানাভাবে কেরিয়ার বা পড়াশোনার চাপ থাকেই। তার সঙ্গে অনিয়মিত খাবার ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের সমস্যা। সব মিলিয়ে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। ডায়াবেটিস ছাড়া আর একটি সমস্যা নিয়েও চলে আলোচনা। তা হল হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ। নতুন একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বিশেষ ডায়েট মেনে চললে লাগামে থাকবে হাইপারটেনশনের সমস্যা। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ডায়েটে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন রাখলে হাইপারটেনশনের আশঙ্কা অনেকটাই কম থাকবে।
হাইপারটেনশন কী?
এটি মূলত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। কার্ডিওভাস্কুলার রোগ বা হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত একাধিক রোগের অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। ঠিকমতো চিকিৎসা না হলে হৃৎপিন্ডে রক্তপ্রবাহের ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তা থেকে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কী বলছে গবেষণা?
হাইপারটেনশন (hypertension) নামের জার্নালে বেরিয়েছে নতুন এই গবেষণাপত্র। সেখানে দাবি করা হয়েছে, যাঁরা তাঁদের ডায়েটে চার-পাঁচরকম উৎস থেকে আসা প্রোটিন রাখেন তাঁদের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অন্তত ৬৬ শতাংশ কম থাকে। হোল গ্রেইন, ডালজাতীয় শস্য, রেড মিট, ডিম, মাছ-এরকম বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে প্রোটিন সংগ্রহ করতে হবে।
একটি চিনা গবেষক দল এই গবেষণা করেছে। ১২ হাজারেরও বেশি চিনা নাগরিকদের তথ্যের উপর পরীক্ষা করে এই গবেষণাপত্র তৈরি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ওই সব ব্যক্তির উপর ২টি করে সমীক্ষা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিদের তাঁদের খাদ্যভ্যাস, সমীক্ষার আগের তিনদিনের খাবারের তালিকা এবং অন্যান্য শারীরিক পরিস্থিতির তথ্য দিতে হয়েছে। গবেষক দলের সদস্য সাদার্ন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষক শিয়ানহুই কিন বলেন, 'একটিমাত্র উৎস থেকে পাওয়া প্রোটিনের পরিবর্তে একাধিক উৎস থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন প্রতিদিনের খাবারের তালিকা রাখতে হবে।' তিনি আরও জানান, হাইপারটেনশনের বিরুদ্ধে লড়তে মূল ভরসা পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া। ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে অত্যন্ত জরুরি প্রোটিনও।
প্রোটিনের গুরুত্বের কথা আগেও উঠেছে। আমেরিকার গবেষকরা জানিয়েছিলেন, হাইপারটেনশন দূরে রাখতে পাতে রাখতে হবে প্রোটিন। তবে মূলত উদ্ভিদ থেকে পাওয়া প্রোটিন এবং সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সেদেশের স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। রাখা যেতে পারে লো ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবারও। কিন্তু প্রোটিনের উৎসের মধ্যে মাংসের পরিমাণ কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।