Healthy Eating for Older Adults : ' এটা-ওটা খাবেন না' করে পুষ্টি থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন না তো ! বয়স্কদের এই নিয়ম না মানলেই বিপদ
নিবেদিতা বন্দ্যোপাধ্যায় | 21 Feb 2022 05:03 PM (IST)
Healthy Eating for Older Adults : মাশরুম, বাদামের গুঁড়ো ও নানারকমের ডাল রাখতে হবে ডায়েটে। চিবোনোর ক্ষমতা চলে গেলে বাদাম গুঁড়ো করে মুড়ি, চিঁড়ে বা অন্য খাবার মেশানো যেতে পারে।
বয়স্কদের এই নিয়ম না মানলেই বিপদ
কলকাতা : ছেলে মেয়েরা শহরের বাইরে। বাড়িতে একাই দিন কাটান এ শহরের অনেক বয়স্ক মানুষই। খাবারের জন্য নির্ভর করতে হয় পরিচারিকা কিংবা হোম ডেলিভারির। শরীর বা মন ভালনা থাকলে, কখনও -সখনও আবার উপোস করেই কাটিয়ে দেন অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। এতে করে দুর্বলতা বাড়ে। বেড়ে যায় বড় অসুখ করার সম্ভাবনা। অথচ শিশুদের যেমন নির্দিষ্ট একটা ডায়েটচার্ট ফলো করা দরকার, তেমনটা বয়স্কদের ক্ষেত্রেও। কিন্তু হয়ত সেটা ভালভাবে হয়ে ওঠে না কিছুটা অবহেলার কারণেই। শারীরিক অবস্থা অনুসারে, চিকিৎসকরা অনেকসময়ই বলে দেন কী কী খাবেন না। কিন্তু এই না-গুলি মানতে গিয়ে হয়ত, পেটভরে প্রয়োজনীয় খাবারগুলিও খান না বৃদ্ধরা। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিক মিত্র , জানাচ্ছেন, ৬০-৬৫ পেরনোর সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে বেশ কিছু লক্ষণীয় পরিবর্তন আসে। তা মাথায় রাখতে হবে। কী কী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় শরীরে -
এই বয়স থেকে পেশীর ঘনত্ব কমতে থাকে। যাকে বলে সাইকোপেনিয়া। এতে করে কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাটা বাড়ে।
পেশীর কর্মক্ষমতা কমে যায়।
দাঁতের সমস্যা ও দাঁত পড়ে যাওয়ার কারণে অনেক বৃদ্ধই সঠিক নিউট্রিশন পান না। কারণ দাঁতের কষ্ট হবে বলে, খাদ্য়তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন তাঁরা অনেককিছুই।
হাড়ের সমস্যা বাড়ে।
হজম ক্ষমতা কমে যায়।
কনস্টিপেশনের সমস্যাও বয়স বাড়লে বেশ কমন । এই সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখেই প্ল্যান করতে হবে বয়স্ক কারও ডায়েট চার্ট। সেই সঙ্গে দেখে নিতে হবে তাঁর শরীরে আর কিছু সমস্যা আছে কি না। যেমন, প্রেসার, সুগার ইত্যাদি। ডায়েট চার্ট তৈরিকরার সময় মাথায় রাখতে হবে জীবনশৈলির বিষয়টিও।
যেহেতু একটা বয়সের পর থেকে হজম ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে, তাই সারাদিনের খাবারকে ছোট ছোট মিলে ভাগ করতে হবে ।
সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে ।
তেল-ঝাল-মশলা কম এমন খাবারই খাওয়া প্রয়োজন।
মাশরুম, বাদামের গুঁড়ো ও নানারকমের ডাল রাখতে হবে ডায়েটে। চিবোনোর ক্ষমতা চলে গেলে বাদাম গুঁড়ো করে মুড়ি, চিঁড়ে বা অন্য খাবার মেশানো যেতে পারে।
দুধজাতীয় খাবার খেতে অনেকের বারণ থাকে। তাঁরা ছাড়া দুধ বা দুধজাত খাবার পরিমান মতো খাওয়া যেতে পারে।
রান্না করার জন্য সয়াবিন তেল ব্যবহার করা যায়।
চিকিৎসকের বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী , গাওয়া ঘি চলতে পারে।
সয়া থেকে তৈরি নানা প্রোডাক্ট খুবই উপকারী।
শুধু মাছ-মাংস খেলেই প্রোটিন ডিমান্ড মিটবে এমন কিন্তু নয়।
দাঁতের সমস্যার জন্য এমনভাবে রান্না করতে হবে যা সহজেই নরম হয়ে যায়।
কনস্টিপেশনের সমস্যা দূর করতে কিছু ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন ময়দার বদলে আটা চলতে পারে। ফ্রুট জুসের বদলে খান গোটা ফল। ফল চিবোতে না পারলে গ্রাইন্ড করে পুরোটাই খেতে হবে না ছেঁকে। তবে কী কী ফল একজন বয়স্ক মানুষ খেতে পারবেন, তা জেনে নিতে হবে আগেভাগেই।
খাবার যেন রংবেরং-এর হয়। যেমন নানা রঙের সবজি ও ফল। এটা শুধু পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য নয়। মনও ভাল থাকে। খাবার সময় মনেও তৃপ্তি আসে। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিক মিত্র