কলকাতা: রোগীর পথ্য হিসেবে জুড়ি নেই। দুর্বলতা কাটাতেও মারাত্মক সাহায্য করে। সমুদ্রপাড়ে ঘুরতে গিয়ে বেলাভূমিতে (sea beach) বসে ডাব হাতে আয়েশ করার অভিজ্ঞতা হয়তো সবারই হয়েছে। সেই ডাবের পুষ্টিগুণ কখনও ভেবে দেখেছেন? তেষ্টা দূর করতে সময়ে-অসময়ে অনেকেই ডাবের জল খান। দাম বেড়ে চললেও ডাবের (coconut) প্রতি ভালবাসা কমেনি কারও। তার পিছনে আসল কারণ ডাবের গুণ। চলুন একবার দেখে নিই ডাবের গুণের বহর।  


ঠেকায় ডি-হাইড্রেশন 
ডাবের জলে থাকে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ থাকে। অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর ক্লান্ত শরীরকে চাঙ্গা করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডাবের জল। শরীরে জলের ভারসাম্য রাখতেও সাহায্য করে।


বাড়ে না ওজন
ডাবের জলে কোনও ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ নেই। ফলে ওজন (weight) বৃদ্ধির কোনও চিন্তাও নেই। যারা ওজন নিয়ে সচেতন। খাবার খুব মেপে খান। তাঁরা এই জিনিসটি নিশ্চিন্ত মনে খেতেই পারেন। 


দূরে থাকবে কিডনির রোগ
কিডনিতে পাথর (kidney stone) হওয়া একটি অত্যন্ত পরিচিত রোগ। নিয়মিত ঠিক পরিমাণে জল খেলে কিডনির রোগ থেকে বাঁচা যায়। ডাবের জল শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ডাবের জলে থাকা উপাদান কিডনির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও কার্যকরী। ফলে ডায়েট প্ল্যানে নিয়ম মেনে রাখতেই পারেন ডাব। 


অন্তঃসত্ত্বাদের জন্যও উপকারী
ডাক্তারের পরামর্শ মেনে গর্ভবতী (pregnant) এবং প্রসূতিদের ডায়েটে থাকতে পারে ডাবের জল। ক্লান্তি কমাতে এবং আরও নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে ডাবের জল।


ত্বক ভাল রাখতেও কার্যকরী
অনেকেই ব্রণ (pimple), ফুসকুড়ির সমস্যায় ভোগেন। নিয়মিত ডাবের জল খেলে সেই সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলতে পারে। ডাবের জল শরীরে দূষিত পদার্থ বাইরে বের করতে সাহায্য করে। ফলে ভাল থাকে ত্বক।   


প্রচুর গুণ থাকলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে ডাবের জল থেকে দূরে থাকাই ভাল। কিডনির সমস্যা দূরে রাখতে ডাবের জল খাওয়া হলেও, কিডনির রোগীদের কিন্তু ডাবের জল খাওয়া উচিত নয়। রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও দূরে রাখুন ডাবের জলকে। 


আরও পড়ুন- রোগ দূরে রাখতে চান? রোজ পাতে থাকুক গাজর