কলকাতা: স্যালাডের (Salad) রেসিপিতে এর খোঁজ মেলে। মিষ্টি-প্রিয় বাঙালি অবশ্য আরও একরকম ভাবে খেতে ভালবাসে। হালুয়া তৈরি করে। ঠিকই ধরেছেন, গাজরের (Carrot) কথাই হচ্ছে। শীতের দিনে প্রায় প্রতি ঘরেই যে সবজির দেখা মেলে। সারা বছরের বেশ অনেকটাই সময়জুড়েই বাজারে দেখা মেলে এই সবজির। ছোট কমলা-রঙা এই সবজির গুণের কিন্তু অন্ত নেই। নিয়মিত খাবারের পাতে গাজর থাকলে দূরে রাখতে পারবেন অনেক রোগ-বালাই।
আসুন জেনে নিই গাজরে ঠিক কী কী খাদ্যগুণ (health benefits of carrot) রয়েছে। প্রতি একশো গ্রাম গাজর থেকে পেতে পারেন ৪০ থেকে ৪২ ক্যালোরি। প্রোটিন পাবেন ০.৯ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে প্রায় ১০ গ্রামের মতো। রয়েছে কিছু পরিমাণে শর্করা এবং ফাইবারও। তবে অধিকাংশ রয়েছে জল। ১০০ গ্রাম গাজরে জলের পরিমাণ থাকে আশি শতাংশের উপরে। এবার দেখা যাক শরীরে কী কী উপকারে আসে গাজর।
চোখের বন্ধু-
খাবারে নিয়মিত গাজর থাকলে, তা চোখের জন্য খুবই উপকারী। দৃষ্টিশক্তি (Eye Sight) ভাল রাখতে এর জুড়ি নেই। গাজর ভিটামিন এ-র (vitamin A)উৎস। যা চোখের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে চাইলে। চোখের সমস্যা এড়াতে চাইলে খেতে পারেন গাজর।
দূরে থাকবে কোলেস্টরল (cholesterol)
গাজরে রয়েছে বহু পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট (anti oxidant) নিয়মিত গাজর খেলে তা কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। তার ফলে সুস্থ থাকবে হৃদযন্ত্র (Heart)। গাজরে পটাশিয়াম (potassium) থাকে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের যম
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে গাজরে। আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে, চেষ্টা করুন কাঁচা গাজর খেতে। ফাইবার থাকার কারণে পেট পরিষ্কার রাখতে জুড়ি নেই গাজরের।
মধুমেহ থাকলেও উপকার
যাদের মধুমেহ (diabetes) রয়েছে, তাঁদের বলা হয় তুলনামূলক কম শর্করা রয়েছে এমন ফল-সবজি খেতে। গাজর সেরকমই একটি সবজি। ফাইবার, ভিটামিন এ এবং আরও কিছু উপাদান থাকায় গাজর রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে যদি আপনি মধুমেহের রোগী হন। তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তারপরেই গাজর খাবেন।
ক্যানসার রুখতেও কার্যকরী
গাজরে মূলত দুই ধরনের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে। একটি হল ক্যারোটেনয়েডস (carotenoids) এবং অন্যটি হল অন্যটি হল অ্যান্থোসায়ানিন (anthocyanins)। গাজরের রঙের পিছনে রয়েছে এই দুটি যৌগের হাত। এই ধরনের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
অনেক উপকার থাকলেও। সতর্কও থাকা প্রয়োজন। যতই উপকারী হোক না কেন, যে কোনও খাবারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া ভাল নয়। মেপে খান, সুস্থ থাকুন।
আরও পড়ুন- হজমের সমস্যা থেকে অ্যানিমিয়া, জিরে ভেজানো জলেই হাজারো উপকার