কলকাতা: যাঁরা ইতিমধ্য়েই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠা-নামা করে থাকে। যাঁরা মধুমেহতে আক্রান্ত, সেই বুঝে তাঁরা সাবধান হতে পারেন। কিন্তু যাঁদের এখনও ডায়াবেটিস ধরা পড়েনি (non diabetics)। তাঁদেরও সতর্ক থাকা উচিত। 


হাই ব্লাড সুগার বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া
হাইপারগ্লাইসেমিয়া (hyperglycemia) আদতে এমন একটি শারীরিক পরিস্থিতি যেখানে রক্তে লাগামছাড়া শর্করা থাকে। নন ডায়েবেটিক অর্থাৎ যাদের এখনও ডায়াবেটিস ধরা পড়েনি তাঁদের স্ট্রেস এবং অন্য সমস্যার জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। ফলে সবসময়েই রক্তের শর্করার মাত্রার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। ব্লাড সুগার বেশি থাকলে শরীরে একাধিক সমস্যা হতে পারে। সংক্রমণের সম্ভাবনাও বাড়তে পারে। শরীরের অন্য অঙ্গতেও খারাপ প্রভাব পড়বে। রক্তে অতিরিক্ত শর্করা থাকলে হার্ট অ্য়াটাকের সম্ভাবনাও বাড়তে পারে। 


কী কারণে নন ডায়াবেটিকদের সুগার হয়?
একাধিক কারণে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির সমস্যা হতে পারে। পিছনে থাকতে পারে একাধিক রোগ বা জীবনযাত্রার পদ্ধতি।


পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম
মহিলাদের এই সমস্যা থাকলে শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা (hormonal imbalances) করে। এক্ষেত্রে শরীরে বেশিমাত্রায় টেস্টোস্টেরন (testosterone), ইনসুলিন (insulin) এবং সাইটোকাইন (cytokine) উৎপন্ন হয়। 


স্ট্রেস (stress)
অতিরিক্ত মানসিক চাপ ব্লাড সুগার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। স্ট্রেস বৃদ্ধি হলে কর্টিসল (cortisol) এবং অ্যাড্রিনালিন (adrenaline) বাড়তে থাকে। এই কারণেই রক্তে বাড়তে পারে ব্লাড সুগার। 


সংক্রমণ (infection)
শরীরে কোনও সংক্রমণ হলেও স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল বাড়তে থাকে। এমন হলে ইনুসুলিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা সবসময়েই বেশি থাকে।


ওষুধের কারণে
বেশকিছু ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ কিছু ওষুধের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। ওই ওষুধগুলি শরীরে এনজাইমের পরিমাণ বৃদ্ধি করায় যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা সবসময়েই বেশি থাকে। 


স্থূলতা (obesity)
শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকলে বা ওবেসিটির সমস্যা থাকলে ব্লাড সুগারের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। অতিরিক্ত মেদ ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। 


কী কী উপসর্গ
বারবার তেষ্টা, বারবার মূত্রত্যাগ, তলপেটে ব্যথা, অসম্ভব ক্লান্তি এরকম নানা উপসর্গ দেখা যায় ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পেলে। 


নজর থাকুক
প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় নজর দিতে হবে। ডায়েটেও খেয়াল রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর ফল-সব্জি খাওয়া, যতটা সম্ভব ফাস্টফুড কম খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। দীর্ঘক্ষণ ধরে না খেয়ে থাকার অভ্যাস রাখলেও চলবে না। পাশাপাশি স্ট্রেসে লাগাম ও ঠিকমতো ঘুম হওয়াও প্রয়োজন। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।