হোলি এক্কেবারে দোরগোড়ায়। রঙের উৎসব মানেই সবার রঙে রং মেশানো। বহুদিন পর মেলামেশায় কিছুটা বেহিসেবি হওয়া।  সামনের শুক্রবার ১৮ মার্চ দোল উৎসব বা হোলি । তার আগে রয়েছে হোলিকা দহন । সব মিলিয়ে হোলির আনন্দ চরমে। এরই মধ্যে মনে রাখতে হবে নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টিও। 

হোলি মানেই লম্বা পিচকারি দিয়ে দেদার রং ছোড়া, কখনও আবার জল বেলুন হাতে তুলে নেওয়া। তবে মনে রাখতে হবে, এখন কিন্তু দোলের রঙের সঙ্গে মেশানো থাকে নানারকম ক্ষতিকর রাসায়নিক। তা ফলে চোখ ও ত্বক উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু এত হুল্লোড়ের মধ্যে কীভাবে সাবধানে হোলি খেলা সম্ভব ? কিছু টিপস শেয়ার করলেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ মৃন্ময় দাস । এবিপি লাইভের সঙ্গে সাক্ষাতকারে দিশা আই হাসপাতালের Senior Consultant, Cataract & Cornea Services .

প্রোটেক্টিভ আইগ্লাস ( protective eyeglasses ) : জিরো পাওয়ারের ( zero power) চশমা পরে দোল খেলুন। চাইলে সানগ্লাসও পরতে পারেন। ক্ষতিকর রং থেকে চোখ থেকে বাঁচতে এটি ভাল কাজ করে। চট করে চোখ আবির ঢুকবে না। জল রং থেকেও অনেকটা সুরক্ষিত থাকবে। বেলুন তীব্রগতিতে এসে লাগলেও ক্ষতি হয়। চোখের নার্ভের ক্ষতি হতে পারে। 


প্রাকৃতিক রং : প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করুন। ভোষজ রঙে হোলি খেলা খেলার সবচেয়ে উপকারিতা হল, তা আপনার শরীরের এবং বিশেষ করে চোখের ক্ষতি করবে না। বাচ্চারাও নিরাপদে থাকবে। যেমন পলাশ ফুল থেকে তৈরি হতে পারে রং। অপরাজিতা, কাঁদা হলুদ, টুকটুকি লাল বিট, অ্যারারুট, এসবের সমন্বয়ে তৈরি আবির বেশ নিরাপদ।  ফুলের আবির অনেক মসৃণও হয়। 


বিষাক্ত রং থেকে সাবধান : বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ রঙে অ্যাসবেস্টস, পারদ, সিলিকা, মাইকা এবং সীসার মতো বিপজ্জনক রাসায়নিক থাকতে পারে। এগুলি ত্বক এবং চোখের জন্য অত্যন্ত বিষাক্ত । এর থেকে জ্বালাভাব এবং অ্যালার্জির মতো উপসর্গ হতে পারে। 


চোখে রং ঢুকলে : চোখ হাত দিয়ে ঘষবেন না। কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কর্নিয়া ছড়ে গেলে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হয়। আগে ভাল করে চোখ জল দিয়ে ভাল করে ধুতে হবে। আই ড্রপ দিতে হবে। আর দেরি না করে চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে।