কলকাতা: ঘুম থেকে উঠে মোবাইল অন করে একবার ফেসবুকে চোখ না বোলালে দিনটা ঠিকঠাক শুরু হয়েছে বলে মনে হয় না, না? হোয়াটসঅ্যাপে কত মেসেজ এসে পড়ে রয়েছে, সেটাও দেখে নেওয়া দরকার। ফাঁকেফোঁকড়ে একটু ইনস্টা-ট্যুইটারেও বেরিয়ে এলে ক্ষতি কী? কিন্তু এভাবে দিনের কতটা সময় চলে যায়, সে কথা হয়তো অনেকেরই খেয়াল থাকে না। যখন খেয়াল হয়, তখন মনে হয়, অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু এই 'নেশা' কাটানোর উপায়?অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার 'নেশা' কাটাতে মাঝেমধ্যে সেখান থেকে 'ব্রেক' (Break From Social Media) নিতে চান। কয়েকটি বিষয় মনে রাখলে এগোতে সুবিধা হতে পারে।
কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার?
- প্রথমেই নিজের কাছে স্পষ্ট হয়ে নিতে হবে, ঠিক কেন এই ব্রেক চাইছেন। স্ট্রেস কমানো নাকি কাজের মানোন্নয়ন, নাকি মানসিক স্বাস্থ্য, কী কারণে এই 'ব্রেক' সে সম্পর্কে স্পষ্ট হয়ে তার পরেই এগোন।
- আপনি যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নিচ্ছেন, সে কথা একবার সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিতদের জানিয়ে দিতে পারলে ভাল। সেক্ষেত্রে তাঁরা আপনাকে প্রত্যেক দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যাশা করবেন না। বোঝাবুঝি পরিষ্কার থাকবে।
- ঠিক কতটা মেয়াদের জন্য এই 'ব্রেক', সেটা নিজের কাছে স্পষ্ট থাকা দরকার। কয়েক দিন, মাস নাকি বছর, ঠিক কতটা সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আলাদা থাকতে চাইছেন, কেন এই মেয়াদটাই বেছে নিচ্ছেন, এ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার।
- যে কোনও অভ্যাস বন্ধ করতে হলে, সে জায়গায় কোনও বিকল্প দরকার। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানো বন্ধ করলে যে সময়টা পাবেন, তখন অন্য কোনও কাজে মন দিতে পারেন। হবি, বাগানের পরিচর্যা, ছবি-আঁকা, গান শেখা, বই পড়া--অনেক কিছুই করা যেতে পারে ওই সময়টায়।
- যে অ্যাপের কারণে এত আসক্তি, সেগুলি ধীরে ধীরে মোবাইল থেকে 'আনইনস্টল' করে ফেললে কেমন হয়? সুবিধা একটাই। একবার আনইনস্টল করে ফেললে অ্যাপটি ব্যবহার করা সামান্য হলেও কঠিন হয়ে উঠবে। তাতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কমবে।
- আত্মবীক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। কেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরতে চাইছেন, তাতে কতটা সফল হয়েছেন, কেন সফল হতে পারলেন না, এই নিয়ে নিজের সঙ্গে আলোচনা জরুরি। তবে হাল ছাড়লে চলবে না।
- সোশ্যাল মিডিয়ার আড়াল ছেড়ে সামনাসামনি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে পারলে ভাল হয়। জীবনের ব্যস্ততা কমবে না। তার মধ্যে যতটা সম্ভব, প্রিয়জনদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করে কথা বলুন। তাতে ভার্চুয়াল দুনিয়ার ভুল বোঝাবুঝিও কম হয়, সখ্যও তৈরি হয় বাস্তবের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন:তেল মালিশেই চাঙ্গা থাকে শরীর-মন, রাতে শোওয়ার আগেই মাখবেন কেন? রইল ৪ কারণ