কলকাতা : প্রত্যেক বাবা-মা চান তাঁর সন্তান (Child) যেন শারীরিকভাবে শক্তিশালী থাকে পাশাপাশি মানসিক দিক থেকেও বুদ্ধিদীপ্ত হয়। এর জন্য বাচ্চাদের খাবারের তালিকায় নজর দেওয়া খুবই জরুরি। শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে স্বাস্থ্যকর খাবারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আজকের দিনের বাচ্চারা জাঙ্ক ফুড খেতে পছন্দ করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, জাঙ্ক ফুড একেবারেই উপযুক্ত নয় শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য। তাই পিৎজা, বার্গার, পেস্ট্রি, চকোলেট, কেক এসব খাবারের থেকে তাদের সব্জি, ফল এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করানো প্রয়োজন। জাঙ্ক ফুড শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কোন কোন খাবার অবশ্যই শিশুদের পাতে রোজ রাখা দরকার? যাতে তাদের সঠিত শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ হয়, একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক-


১. এক বছর বয়সের পর থেকেই বাচ্চারা ডিম খেতে পারে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফলিক অ্যাসিড শরীরে পৌঁছতে সাহায্য করে।


আরও পড়ুন - Weight Loss Tips: অতিরিক্ত ওজন কমাতে দারুণ উপকারী জিরের জল, কীভাবে বানাবেন জেনে নিন


২. বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের উপকারে দুধের জুড়ি মেলা ভার। প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া দরকার। দুধে থাকা ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন শিশুদের শারীরিক গঠন এবং মানসিক গঠনে দ্রুত সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা ফসফরাস এবং ভিটামিন ডি হাড় মজবুত রাখতে, নখ এবং দাঁতের স্বাস্থ্য় রক্ষায় সাহায্য করে।


৩. বাচ্চাদের কেক, পেস্ট্রি কিংবা চকোলেটের পরিবর্তে ড্রাই ফ্রুটস খেতে দিন। আমন্ড বাদাম, কাজু বাদাম, কিশমিশ, আখরোট প্রতিদিন খেলে মস্তিষ্ক সচল থাকে।


৪. স্বাধারণত বাচ্চারা কলা খেতে ভালোবাসে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। যা চটজলদি এনার্জি বাড়াতেও সাহায্য করে।


আরও পড়ুন - Health Tips For Women: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলারা কোন কোন খাবার অবশ্যই খাবেন?


৫. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে ঘি-এ। মস্তিষ্কের সঠিক বৃদ্ধিতে শিশুদের প্রতিদিন বাড়িতে তৈরি ঘি খাওয়ানো দরকার। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে ঘি।


৬. শিশুদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অবশ্যই দই রাখা প্রয়োজন। মস্তিষ্কে উন্নতি এবং পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে দই।


৭. স্ন্যাকসে অন্য কোনও খাবারের পরিবর্তে ওটস খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য় বিশেষজ্ঞরা। 


৮. শুরু থেকেই বাচ্চাদের টাটকা ফল এবং সব্জি খাওয়ানোর অভ্যাস করানো দরকার।  ফল এবং সবুজ শাক-সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান রয়েছে। যা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।


৯. ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি কিংবা ব্ল্যাকবেরি, যেকোনও রকমের বেরি বাচ্চাদের জন্য দারুণ উপকারী। 


১০. আলু এবং মিষ্টি আলু বাচ্চাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।