কলকাতা : করোনা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত গোটা দুনিয়া। সংক্রমণের চিন্তার পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে জীবনযাত্রাতেও। বদলে গিয়েছে লাইফস্টাইল। অফিসে গিয়ে কাজের পরিবর্তে মানুষকে অভ্যস্ত হতে হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে। আর সারাদিন কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলের সামনে বসে থেকে আজ অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে। সারাদিন মিটিং, টার্গেট পূরণের চিন্তা, কাজের অত্যধিক চাপ, চাকরি ধরে রাখার চিন্তা, কাজের চাপে অনিয়মিত হচ্ছে খাওয়া-দাওয়াও। আর এত কিছুর ফলে দেখা দিচ্ছে ডায়াবিটিস, হাইপার টেনশনের মতো সমস্যা। কীভাবে এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তার রাস্তাও দেখাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।


পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ। তাই তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় খেয়াল রাখতে হবে সেখানে যেন প্রোটিন জাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন দু'প্রকারের হয়। সম্পূর্ণ আর অসম্পূর্ণ। সম্পূর্ণ প্রোটিন পাওয়া যায় ডিম, দুধ, মাছ, মুরগি বা টার্কি বা হাঁসের মাংসে। এই সমস্ত খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। পাশাপাশি এই সমস্ত খাবার হজমের জন্যও একশো শতাংশ উপকারী। 


তাঁদের মতে, একটি ডিমে ৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। যেখানে ১০০ গ্রাম প্রোটিন থাকে মুরগির মাংসে। পাশাপাশি হাঁস বা টার্কির মাংসে ২০ থেকে ২১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি বেশি পরিমাণে প্রোটিনজাতীয় খাবার খেতে চান, তাহলে রোজকার খাবারের তালিকায় এই সমস্ত খাবারগুলি রাখতে পারেন। কারণ, প্রোটিনের পরিমাণ যদি আপনার শরীরে বেশি থাকে, তাহলে আপনার শরীরে মেটাবলিজমের পরিমাণ বাড়বে, এনার্জির পরিমাণ বাড়বে, দুর্বলতা বা ক্লান্তি কমবে। পাশাপাশি পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে ব্রেকফাস্ট খুবই জরুরি ভূমিকা পালন করে। তাই প্রত্যেকদিন ব্রেকফাস্টে একটি ডিম কিংবা এক গ্লাস দুধ রাখুন। তাহলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। আপনার স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে।