দিল্লি: করোনা পরিস্থিতি ভাল নয়, দেশবাসীকে এবার বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা সুনামিতে দেশজুড়ে সংক্রমণ সুনামীর আকার নিয়েছে। করোনা রুখতে দেশবাসীকে তাই সুরক্ষাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

তথ্য অনুযায়ী একজন সংক্রমিত ব্যক্তি একমাসে ৪০৬ জনকে আক্রান্ত করতে পারে। এই প্রসঙ্গে নীতি আয়োগের সদস্য ডাঃ ভিকে পাল জানিয়েছেন, পরিবারে একজন কোভিড আক্রান্ত হলেও তাঁরও বাড়িতে মাস্ক পরে থাকা উচিৎ কারণ বাড়ির ভিতরেই সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে এই ক্ষেত্রে।" তাঁর আরও পরামর্শ "বাড়িতে মাস্ক পরার সময় চলে এসেছে এখন। এই পরিস্থিতিতে বিনা প্রয়োজনে বাইরে বেরোবেন না। পরিবারের মধ্যেও বাড়িতে মাস্ক পরুন। মাস্ক পরা খুবই জরুরী। বাড়িতে কাউকে আমন্ত্রণ জানাবেন না।"

চিকিৎসকদের মতে, যিনি করোনা আক্রান্ত তিনি তো মাস্ক পরবেনই, পাশাপাশি বাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরও মাস্ক পরতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি অবশ্যই বাকিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন।
কোনও উপসর্গ থাকলেই অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি এইমসের চিকিৎসক ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছে, "উপসর্গ থাকলেই আইসোলেশনে থাকুন, এর জন্য আরটিপিসিআর টেস্টের অপেক্ষা করবেন না।"

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব লভ আগরওয়াল বলেছেন, "মাস্ক পরেই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলুন। না হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সঙ্গে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন।" তিনি আরও বলেছেন, "‌সামাজিক দূরত্ববিধি মানলে, একজন সংক্রমিতের থেকে ৩০ দিনে ৪০৬ জন কোভিড আক্রান্ত হতে পারেন। আর সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চললে ৩০ দিনে সংক্রমিত হতে পারেন মাত্র ২.‌৫ জন।"

দেশে প্রথমবার সাড়ে ৩ লক্ষের গণ্ডি ছাড়াল করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ফের দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল ভারত। 
দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাতেও রেকর্ড ভারতের। লাগাতার ২ দিন ধরে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা তিনহাজার ছুঁইছুঁই।  

উল্লেখ্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে ইতিমধ্যেই 'সুনামি'র আখ্যা দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৫২, ৯৯১ জন। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২,৮১২ জন।