কলকাতা: স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজন পুষ্টি (Nutrients)।  সেই পুষ্টিপদার্থের জন্য অনেক সময় খাওয়ার পাশাপাশি সাপ্লিমেন্টের উপরও ভরসা করতে হয়। পোষকপদার্থগুলির মধ্যে অন্যতম জরুরি ভিটামিন। বিভিন্ন গোত্রের ভিটামিন রয়েছে। যার সবকটিই কোনও না কোনও ভাবে আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেগুলির অভাবে  নানা ধরনের রোগ বা বাসা বাঁধতে পারে আমাদের শরীরে। নানা সময় প্রয়োজন বুঝে ডাক্তার আমাদের নানা রকম ক্যালশিয়াম ট্যাবলেট, মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেট দিয়ে থাকেন , যা আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটায়। মাল্টিভিটামিন (multivitamin) ঠিক কী? কী কী থাকা উচিত?


ভিটামিন ডি (Vitamin D): 
আমাদের শরীরে জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন। শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য় কাজ করতে এটি। যা হাড় ও দাঁত ভাল রাখে। সূর্যের আলোয় বা রোদে থাকলে ত্বকের মাধ্যমে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। কিন্তু এখন অধিকাংশ ব্য়াক্তিরই রোদে থাকার সময় হয় না। অধিকাংশ সময় ঘরে বসে কাজ করা হয়। অতিরিক্ত রোদে UV রশ্মির জন্য ক্ষতিরও সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণেই ইদানিং ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট এত প্রয়োজনীয়।


ম্যাগনেশিয়াম (Magnesium):
স্নায়ু থেকে হাড় সবকিছুর জন্য প্রয়োজনীয় ম্য়াগনেশিয়াম। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুব প্রয়োজনীয় এটি। ঘুমের জন্য সাহায্য করে এই খনিজ। ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার না খেলে এর সাপ্লিমেন্টের দরকার পড়ে।


জিঙ্ক (Zinc):
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে জিঙ্ক। কোনওরকম আঘাত থাকলে তা সারিয়ে তুলতে জিঙ্ক কার্যকরী। এছাড়াও ফ্যাট , কার্বোহাইড্রেট-কে এনার্জিতে পরিণত করতে কাজ করে জিঙ্ক।


ক্যালসিয়াম (Calcium):
হাড় ও দাঁত ভাল রাখতে সাহায্য করে ক্যালসিয়াম। এছাড়াও হাইপারটেনশন এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে ক্যালশিয়াম। 


আয়রন (Iron):
হিমোগ্লোবিনের প্রধান উপাদান আয়রন। অক্সিজেন বহনের কাজ করে হিমোগ্লোবিন। কোনও সময় হিমোগ্লোবিন কম থাকলে বা রক্তপাতের ফলে আয়রনের ঘাটতি হলে ডাক্তাররা আয়রন সাপ্লিমেন্ট দেন। গর্ভবতী ও প্রসূতিদের প্রয়োজন বুঝে এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়ে থাকে।


ফলিক অ্যাসিড (Folic Acid):
অন্যতম প্রয়োজনীয় পরিপোষক। গর্ভবতীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়াও নখের স্বাস্থ্যের জন্য় ও ডিপ্রেসন দূর করতে ফলিক অ্যাসিড কাজ করে।


ভিটামিন বি ১২ (Vitamin B12)
স্নায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য় অনবদ্য এটি। রক্তের কোষ তৈরি করে। এছাড়াও জিন ও ডিএনএ গঠনেও অবদান রয়েছে। মূলত প্রাণীজ-খাদ্য থেকে এই পোষকপদার্থ পাওয়া যায়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: গরমে গ্যাস-অম্বল-বদহজম হবে দূর, খেয়ে দেখুন এই চা