কলকাতা: মানবদেহে লোহার পরিমাণ কম থাকলে, অর্থাৎ Iron Deficiency-হলে তা নানা ভাবে শরীরে সমস্যা তৈরি করতে পারে। ডাক্তারি পরিভাষায় এই বিশেষ অবস্থাকে অ্যানিমিয়া- বলা হয়ে থাকে।



সহজেই ক্লান্তি আসা, দুর্বল হয়ে যাওয়া, হজমে সমস্যা, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায় যদি কেউ অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হন। এটা সহজেই রোখা যায় যদি আয়রন রয়েছে এমন খাবার নিয়মিত ডায়েটে রাখা যায়। বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফল আয়রন সমৃদ্ধ। কিন্তু এদিন আমরা নজর দেব পানীয়ে। কোন কোন পানীয় (Juice) আয়রন সমৃদ্ধ, সহজেই শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে পারে, একবার তার তালিকায় নজর রাখা যাক।

গ্রিন জুস:
ওজন কমানো থেকে আয়রনের জোগান সবেতেই কাজ করবে এই পানীয়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতেও কাজ করবে এটি। মূলত লেবু, পার্সলে পাতা, নাশপাতি, পালংশাক- এই কটি দিয়েই তৈরি করা যায় এই পানীয়। এই পানীয়ে ভিটামিন সি রয়েছে এমন কিছু ফল মেশানো যায়। ভিটামিন সি থাকলে শরীরে আয়রন শোষণ ঠিকমতো হতে পারে।

আলুবোখরার রস:
আলুবোখরা বা Prune অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। শুকনো আলুবোখরার রস আয়রন সমৃদ্ধ হয়। এই পানীয়ে আয়রন ছাড়াও আরও একাধিক পোষকপদার্থ থাকে। শরীরে লোহার ঘাটতি মেটাতে দুরন্ত কাজ করে এই পানীয়। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়ামও।

পালং শাক ও আনারস:
ব্রেকফাস্টে বা শরীরচর্চার জন্য় ডায়েটে ইদানিং রাখা হচ্ছে বিভিন্ন রকম স্মুদি। তেমনই একটি স্মুদি সহজেই মেটাতে পারে আয়রনের জোগান। পালংশাক (Spinach) লোহা বা আয়রনের অত্যন্ত ভাল জোগান। এটাই আনারসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। আনারস ভিটামিন সি (Vitamin C) সমৃদ্ধ একটি ফল। পালংশাকের সঙ্গে আনারস মিশিয়ে স্মুদি বানালে একদিকে স্বাদ যেমন ভাল হবে, তেমনই পুষ্টিগুণও বাড়বে। হাতের কাছে আনারস না থাকলে, যে কোনও লেবু বা শীতের দিনে কমলালেবুও (Orange) ব্যবহার করা যায়।

ডালিম ও খেজুরের মিলমিশ:
ডালিম বা বেদানা একই সঙ্গে ভিটামিন সি এবং আয়রনের উৎস। তারসঙ্গে থাকবে খেজুরও। খেজুরেও আয়রন এবং আরও একাধিক প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই দুটি মিশিয়ে স্মুদি বানালে তা আয়রন ঘাটতি মেটানোর ভাল পানীয় হবে।

প্রায় সব পানীয়তেই ভিটামিন সি রয়েছে এমন ফল ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ, ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে শরীর সহজেই আয়রন শোষণ করতে পারে।

ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।