ওয়াশিংটন: ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সির তরফে আজ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ফাইজারের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের দেওয়া যাবে। এবিষয়ে আগেই ফাইজার ভ্যাকসিন দেওয়ায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে সেদেশের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ।  ক্লিনিকাল পরীক্ষায় ২,০০০ এর বেশী অংশ নেয়, এতে দেখা যায় রোগ প্রতিরোধে এটি ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর। ৩,০০০ এর বেশী শিশুর ওপর ভ্যাকসিন নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এতে গুরুতর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এর আগে শিশুদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে ফাইজারকে অনুমোদন দিয়েছে চিন, চিলি, আরব আমিরশাহী । আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আমেরিকা। একটি মাত্র দেশ ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেনি। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এরমধ্যেই ৫-১১ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। 


১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে একশো শতাংশ কার্যকর তাদের ভ্যাকসিন। গত সোমবার এমনই দাবি করল ফাইজার ও বায়োএনটেক। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাসের মধ্যেই এই সুফল পাওয়া যাবে বলে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে।


সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২২২৮ জনের ওপর ট্রায়াল চালানো হয়েছিল। যার তথ্য তাদের আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে সম্পূর্ণ অনুমোদন পেতে কাজে আসবে। তাছাড়া দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরেও নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি ।


ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোর্লা এক বিবৃতিত জানিয়েছেন, যেহেতু গোটা বিশ্বে টিকাকরণের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত এই তথ্য কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে আমাদের ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকরিতা নিয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কিছু কিছু জায়গায় এই বয়সীদের ক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্তের হার বাড়ছে। আমরা এই তথ্য FDA ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইছি।


এর আগে গত ১২ অক্টোবর ভারতেও  শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের করোনা টিকাকরণের জন্য কোভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য DCGI-কে সুপারিশ করে কেন্দ্রের তৈরি সাবজেক্ট এক্সপার্টস কমিটি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে DCGI-কে এই মর্মে সুপারিশ করে এক্সপার্ট কমিটি।