নয়াদিল্লি: করোনামুক্ত হয়ে উঠলেও শরীরের বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা সাহায্য নেওয়ারও। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন এইমসের ডিরেক্টর। কোভিড থেকে সেরে উঠলেও অনেকের তার পরের অনেক প্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন। ফুসফুসে মারণ ভাইরাসের আক্রমণের জেরে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, ক্লান্তি, বুকে ব্যথা, দীর্ঘদিন ধরে কাশি, বেড়ে যাওয়া পালস রেটের মতো পোস্ট কোভিড সমস্যা প্রসঙ্গেই এমনটা জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (এইমস) ডিরেক্টর চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, 'কোভিডমুক্ত হওয়ার ৪ থেকে ১২ সপ্তাহ পর পর্যন্ত যে সব সমস্যা দেখা যায় সেগুলোকে সিমটোম্যাটিক কোভিড বা পোস্ট কোভিড সিনড্রোম বলা হয়। করোনার জেরে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রভাবিত হওয়ার কারণেই সমস্যাগুলো হয়।'
করোনা থেকে সেরে উঠলেও গাঁটে ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো সমস্যাও ভোগায়। নিদ্রাপ্লতা, কোনও কাজ করতে বসে মনঃসংযোগের অভাবও ভোগায়। যা নিয়ে চিকিৎসক গুলেরিয়ার সংযোজন, 'আর একটা সমস্যা দেখা যায় যাকে সোশ্যাল মিডিয়ার ভাষায় ব্রেন ফগ বলে। কোভিড কাটিয়ে উঠলেও নিদ্রাপ্লতা, কোনও কাজে মনঃসংযোগের অভাব, ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা ভোগাতে পারে।'
বিভিন্ন সমস্যার কথা সামনে তুলে ধরেই এইমসের ডিরেক্টর কোভিডমুক্তদের বাড়তি সতর্ক থাকতে বলেছেন শরীর নিয়ে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি দেশে করোনামুক্ত হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পোস্ট কোভিড বিভিন্ন সমস্যা কাটাতে একাধিক পোস্ট কোভিড রিহ্যাব সেন্টার দ্রুত খোলার ব্যাপারেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
এদিকে, করোনার জেরে মৃত্যুতে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লক্ষ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার জনের। সংক্রমিতের সংখ্যা সামান্য কমে ২ লক্ষ ২২ হাজার। যার ফলে দেশে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২৭ লক্ষ ২০ হাজার।