কলকাতা: আসছে গরম। ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। গ্রীষ্মকালে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে অস্বস্তিসূচকও। সব মিলিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়়তে হয় সবাইকেই। গরমের দাপটে অনেকসময় শরীর খারাপও হয়। শরীরে কমে জলের মাত্রাও। শরীর ঠিক রাখতে গরমকালে নজর দিতে হয় ডায়েটে। স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত জলের জোগানও দিতে হয় শরীরে। গরমের সময় প্রতিদিনের ডায়েটে ঠিক কী কী রাখা যেতে পারে? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।    



জলের জোগান
আরামের জন্য এসি ঘরে শোওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। ঘুম ভাল হলেও অন্য সমস্যা থাকতে পারে। এসি ঘরে থাকলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। দিনভর এসি ঘরে বসে কাজ করলেও এই সমস্যা হতে পারে। ফলে শরীর ঠিক রাখতে পর্য়প্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে খালি পেটে জল খাওয়া ভাল।  


লেবু-মৌরি
সকালে লেবুর জল খাওয়া যেতে পারে। আগের দিন রাতে এক গ্লাস জলে মৌরি ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে উঠে খালি পেটে সেই জল খেলে উপকার মিলবে। মৌরি ভেজানো জল শরীর ঠান্ডা রাখে। আমলকির রসও কাজে আসতে পারে।


বাঁচাবে ডাব
ডাবের জল সারাবছরই উপকারী। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে লাগে ডাবের জল। শরীরও ঠান্ডা রাখে। যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে। নিয়মিত ডাবের জল খেলে তাঁরাও উপকার পাবেন।  


সকালে ভরপেট
সকালে পেট ভরে ব্রেকফাস্ট খাওয়া উচিত। তবে তা যেন বেশি তেলমশলা দিয়ে রান্না না হয়। গরমে হরেকরকম ফল পাওয়া যায়। সকালে খাবারের পাতে রাখা যেতে পারে বিভিন্ন মরসুমি ফল। ফলের কারণে শরীরে জলের মাত্রা ঠিক থাকে। পুষ্টিও মেলে। ব্রেকফাস্টে রাখা যেতে পারে ওটস বা কর্নফ্লেক্স।  


বাটারমিল্কে মিলবে আরাম
ছাঁস বলা হয় এটিকে। পরিচিত বাটারমিল্ক নামেও। হজম করাতে এর জুড়ি নেই। গরমে হজমের সমস্যা এড়াতে বাটারমিল্ক ডায়েটে রাখতে পারেন। পেট ভরাতেও কাজে লাগে এটি।


প্রয়োজন হালকা খাবার
বেশি মশলাযুক্ত খাবারের বদলে বেশি করে খাওয়া উচিত নানা ধরনের সব্জি। সুপ বা তরকারি খাওয়া যায়। দুপুরে বা রাতে ডাল রাখতে পারেন ডায়েটে। ডাল শরীরে জলের জোগানও দেবে, মিলবে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: আর্থারাইটিস রুখতে দাওয়াই হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস