Stop Food Cravings : ওজন কমানোর মিশনে নিজেকে খুব সামলে রাখছেন। প্রাণপণে নিয়ন্ত্রণ করছেন খাওয়া- দাওয়া। রোগা হওয়ার দৌড়ে মাঝে মাঝে খাওয়া দাওয়াটা এক্কেবারে বাদই দিয়ে ফেলছেন। তারপর আর ভাল খাবার দেখে সামলাতে পারছেন না নিজেকে। তাই তো ? হ্যাঁ। এই সমস্যা বহু জনের। এক এক করে সব লোভ বর্জন করতে গিয়ে একসময় ফস্কা গেরো হয়ে যায়। আর আপনি পাত পেড়ে খেতে শুরু করেন। কিংবা তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন। এতেই হয় সর্বনাশ। এই ক্রেভিং এড়াতে কী করবেন আপনি। রইল ১০ টি পরামর্শ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিকের তরফে। 



  • আপনি কি না খেয়ে আছেন?
    দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলেই, নিষিদ্ধ খাবার দেখলে জিভে জল চলে আসছে। আর সেই খিদে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তাই পেট ভরা রাখতে হবে। লো ফ্যাট, অথচ আপনাকে প্রচুর এনার্জি দেবে এমন খাবার খেতে হবে। পুষ্টিবিদরা বলেন, অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলেই, যে কোনও খাবার দেখলে লোভ হয়।


  • প্রোটিন খাচ্ছেন তো ?
    ডায়েটে প্রোটিন কনটেন্ট বাড়ানো দরকার।  পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুসারে ডায়েটে থাকুক, মাছ, সয়াবিন, চিকেন প্রভৃতি। বিভিন্ন ধরণের বাদাম থেকেও ভাল এনার্জি পাওয়া যায়। তা বলে মুঠো মুঠো বাদাম খাওয়া যাবে না। এছাড়াও ডাল, সয়াবিন খেতে পারেন। বিন, শুঁটি জাতীয় খাবার খান। লো ফ্যাট ডেয়ারি প্রোডাক্টও শক্তির উৎস।


  • পরিমাণ মতো জল খাচ্ছেন তো? 
    জল যেমন পরিপাকে সাহায্য করে, তেমন পেটও ভরিয়ে রাখে।  জল খাওয়া বাড়াতে হবে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে আড়াই লিটার জল খেতেই হবে।


  • ঘুম কম ?
     বেশি রাত অবধি জাগলে বা রাতে ঘুম কম হহলেই নানা চটপটা খাবারের দিকে মন যায়। তাই সেই অনিয়ম এড়াতে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার।


  • যখন লোভ আর সামলানো যাচ্ছেই না ! 
    কিছু কিছু ভালবাসার খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিতে গেলে মনের সঙ্গেই লড়তে হয়। সেই খাবার চোখের সামনে থাকলে এত বাড়াবাড়ি রকম ক্রেভিং হয়, তা সামলানো কঠিন। সেক্ষেত্রে একটু আধটু খাওয়া যেতে পারে। পরে আবার তা পুষিয়ে দিতে হবে। আর এই ব্যালেন্সটা কীভাবে করবেন, তা বলে দেবেন পুষ্টিবিদরাই।


  • মিষ্টি দেখে লোভ?
    খুব মিষ্টি খেতে ভালবাসেন, তাহলে কি পুরটা বাদ দেওয়া যায় ? না। পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে কতটুকু খাওয়া যেতে পারে তা জেনে নিতে হবে । যেমন এমনি চকোলেটের পরিবর্তে রাখুন ডার্ক চকোলেট। সাধারণ মাখনের বদলে ব্যবহার করুন লো ফ্যাট বাটার।


  • ডায়েটে রাখুন পালং
    স্পিন্যাচ খেলে অহেতুক খিদেটা বেশ কন্ট্রোল হয়। পালং এর সঙ্গে চিকেন ও অন্য সবজি স্যঁতে করে খেতে পারেন। পালং-এর স্যালাড খেতে পারেন। 


  • সময় নিয়ে খান
    দ্রুত খাবেন না। সময় নিয়ে খান। তাহলে খাবারটা অনুভবও করতে পারবেন। টিভি দেখতে দেখতে খেলে বা অন্য ব্যাস্ততার মাঝে খেলে খাওয়াটা উপভোগও করা যায় না। বেশিও খাওয়া হয়ে যায়।


  • ব্যালেন্সড ডায়েট জরুরি
    শরীরের প্রয়োজন যদি আপনার খাবার থেকে না মেটে, তাহলেই ক্রেভং তৈরি হয়। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চার্ট করে ফেলুন।  ভাল করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যেস করুন। ব্যালেন্সড ডায়েটে না থাকলেই ক্রেভিং হতে পারে। নিজেকে বঞ্চিত রাখবেন না।


  • কিছুতেই সামলাতে পারছেন না ক্রেভিং ?
    যে সব খাবার খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি, তার প্রতি লোভ যদি একান্তই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তবে প্রফেশনাল সাহায্য জরুরি। প্রয়োজনে সাইকোলজিস্টের হেল্পও লাগে। তা নিতে দ্বিধা করবেন না।