নয়াদিল্লি: করোনা আবহে তিন বছর ধরে দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে মাস্ক। এন-৯৫, এন-৯৯, কাপড়ের মাস্ক সহ বিভিন্ন ধরনের মাস্ক দেখা যাচ্ছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থা যে মাস্ক তৈরি করেছে, সেটি একেবারেই আলাদা। আকারের জন্য এই মাস্ক অল্পদিনেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মাস্ক নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। অনেকেই এই বিশেষ ধরনের মাস্ককে যুগান্তকারী বলে আখ্যা দিচ্ছেন।


দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা ‘অ্যাটম্যান’ এই বিশেষ ধরনের মাস্ক তৈরি করেছে। এই মাস্কের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোস্ক’। আকারে ছোট এই মাস্ক শুধু চোখের নিচ থেকে নাক পর্যন্ত অংশ ঢেকে রাখে। প্রচলিত মাস্কে যেমন নাক-মুখ সবই ঢাকা থাকে, ‘কোস্ক’ সেরকম নয়। ফলে এই বিশেষ মাস্ক পরে অনায়াসেই খাওয়া যাচ্ছে, সবার সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে। এই কারণেই এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই মাস্ক।


কোরিয়ান ভাষায় ‘কো’ শব্দের অর্থ হল নাক। যেহেতু এই মাস্ক শুধু নাকটুকুই ঢেকে রাখে, সেই কারণেই এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোস্ক’। অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে এই মাস্ক। এর পোশাকী নাম দেওয়া হয়েছে ‘কে এফ ৮০ মাস্ক’। ‘কে এফ’-এর অর্থ ‘কোরিয়ান ফিল্টার’। নির্মাতাদের দাবি, এই মাস্ক ০.৩ মাইক্রনের কোনও বস্তুকেও আটকে দিতে পারে, দক্ষতা ৮০ শতাংশ। সেই কারণেই নাম দেওয়া হয়েছে ‘কে এফ ৮০ মাস্ক’।


এই মাস্ক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নানা মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বলছেন, করোনা আবহে এই মাস্ক সেরা আবিষ্কার। আবার অনেকে এই মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তবে পরস্পর-বিরোধী মত থাকলেও, এই মাস্ক এখন চর্চার বিষয়। অনলাইনে অনেকেই অর্ডার দিয়ে মুখ খোলা এই মাস্ক কিনছেন। বাজার চলতি মাস্কে নাক-মুখ ঢাকা থাকার ফলে অনেকেরই অসুবিধা হয়। সেই কারণেই দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘কস্ক’।


কী ভাবছেন, অনলাইনে অর্ডার দেবেন?