হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। কাশি যেন আর থামতেই চায় না। কাশতে কাশতে দম আটকে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। শ্বাস নেওয়ার সময় সাঁই সাঁই শ্দ হচ্ছে। এছাড়াও কারও কারও কাশতে কাশতে বমি পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। বাড়াবাড়ি হয়ে মূর্ছা যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। ১ দিন - ২ দিন কিংবা ১ সপ্তাহ - ২ সপ্তাহ নয়, তিন মাস পেরোলেও কমছে না কাশি। ব্রিটেনে ভয় ধরাচ্ছে এই অসুখ, যাকে বলা হচ্ছে ১০০ দিনের কাশি। 

ব্রিটেনের চিকিৎসকরা এই নতুন উপসর্গের নাম দিয়েছেন "১০০-দিনের কাশি" (100-day cough)। এটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। সংক্রমণের সংখ্য়া এতটাই বেড়েছে যে,  সতর্কতা জারি করেছে ব্রিটেন। জানা যাচ্ছে মূলত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে ঘটছে এই রোগ। সম্প্রতি  ২৫০% বেড়ে গিয়েছে এই অসুখ। সঙ্গে রয়েছে সর্দির মতো লক্ষণ। আর তার সঙ্গে প্রবল কাশি।  দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হচ্ছে এই কাশি। প্রায় তিন মাস পর্যন্ত সমস্যা চলছেই, জানিয়েছে ফক্স নিউজ।  


ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে, ফুসফুসের এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১৬ জন। ২০২২ সালে এই সময়ে সংক্রমণের হার তুলনায় তিনগুণ বেশি  ছিল।


এজেন্সির জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. গায়ত্রী অমর্থলিঙ্গম, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়াকে বলেন, সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউন নীতি নিয়ে COVID-19 মহামারীকে অনেকটাই রুখে দেওয়া গিয়েছিল, কিন্তু   এখন আবার কেসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বলছে রিপোর্ট। 


হুপিং কাশি কী?


চিকিৎসকদের ধারণা, এটি হুপিং কাশি (Whooping cough pertussis)।  এটি বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট  ফুসফুস এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণ। এই অসুখের কারণে একটা সময় বহু শিশু মারা যেত।  ১৯৫০ র ভ্যাকসিন বেরনোর পরই নাটকীয়ভাবে এর প্রভাব কমিয়ে দিয়েছে।  


 

শুধু শিশুরা নয়, কিশোর-কিশোরী  এবং প্রাপ্তবয়স্কদেরও হুপিং কাশি হতে পারেষ ১০০ দিন ধরে চলা এই কাশির দরুণ হার্নিয়া, পাঁজরে কালশিটে,  কানের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে। মূত্র ধরে রাখার সমস্যা হতে পারে। National Institute of Allergy and Infectious Diseases জানিয়েছে,  হুপিং কাশির ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। তীব্র কাশির ফলে বমি হয়ে যেতে পারে ও ঘা হতে পারে । এমনকী পাঁজরও ভেঙে যেতে পারে। তবে হ্যাঁ, হুপিং কাশি প্রতিরোধযোগ্য এবং এর ভ্যাকসিন রয়েছে।  


আরও পড়ুন :


রহস্যময় এই শিব মন্দিরে প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ হয় ভক্তদের! স্ট্যাম্প পেপারে মহাদেবের কাছে জমা পড়ে আবেদন