World Asthma Day : অ্যাজমা ! শুনলেই একটা ভয়ার অনুভূতি। শুধুমাত্র এই অসুখে আক্রান্তরাই জানেন এর যন্ত্রণা কী ! অ্যাজমার কষ্ট শুরু হলে এক প্রাণান্তকর যন্ত্রণা হয়। বিশ্বব্যাপী অ্যাজমা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর বিশ্ব অ্যাজমা দিবস পালিত হয়।
হাঁপানি কোনও চট করে সেরে যাওয়ার অসুখ নয় । এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, এ রোগ আক্রান্তের ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। চরম শ্বাসকষ্ট, কাশি, দম আটকোনো ভাব অ্যাজমার সাধারণ লক্ষণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে, হাঁপানি প্রায় ২৬২ মিলিয়ন মানুষকে ঘায়েল করেছিল এবং ৪,৬১,০০০ জন মারা গিয়েছিলেন। COVID-19-এর কারণে, হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য-সমস্যার আরও বেড়েছে । এ বছর বিশ্ব অ্যাজমা দিবস (World Asthma Day) ৩ মে, মঙ্গলবার।
COVID-19 হাঁপানির লক্ষণগুলি বাড়িয়ে দিয়েছে বলে চিকিৎসকদের অভিমত। অর্থাৎ অ্যাজমার রোগীরা কোভিডে আক্রান্ত হলে তার ভয়াবহতা আরও বেড়ে যায়। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, হাঁপানির কষ্টে ভোগা মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য সমস্যা জটিল হতে পারে। তাছাড়া, এটি নিউমোনিয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়, যা স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে।
লক্ষণ:
COVID-19 লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, স্বাদ বা গন্ধ হ্রাস, শ্বাসকষ্ট এবং পেশীতে ব্যথা। হাঁপানিতে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের নিজেদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া উচিত এবং আর এই লক্ষণগুলির দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত। কোভিড আক্রান্ত হলে বা সেরে ওঠার পরও বেশি সতর্ক থাকা দরকার।
যেমন -
- শ্বাসকষ্ট
- ইনহেলার ব্যবহারের বারবার প্রয়োজন হওয়া
- বুকের চাপ ধরা
- কাশি
সতর্কতা:
অ্যাজমা রোগীদের অন্যদের থেকে কোভিড-কালে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ইনফেকশন ফুসফুসকে আরও জখম করতে পারে। এড়িয়ে চলতে হবে ধোঁয়া, ধূলিকণা, কড়া সুগন্ধি, অ্যালকোহল ইত্যাদি । ছাড়তে হবে ধূমপান। হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোভিডের লক্ষণ দেখা দিলেই আগাম সতর্ক হতে হবে।
যাদের হাঁপানি আছে, তারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হলে তাদের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অ্যাজমা রোগীর কোভিড হলে
- হাঁপানির ওষুধ বন্ধ করবেন না।
- বদ্ধ জায়গা এড়িয়ে চলুন।
- হাঁপানি বাড়ে এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন।
- যদি হাঁপানির ওষুধেকাজ না হয়, অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।