Diet For Good Sleep : সারাদিনে ঠিক কতক্ষণ ঘুমের প্রয়োজন? দৌড়ঝাঁপের জীবনে এই প্রশ্নটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন দ্রুত জীবনযাত্রায় হয় প্রত্যেকেই কিছুটা ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। আর এই ঘুম কম হওয়ার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে সার্বিক সুস্থতার বিষয়টি। ঘুম ঠিক মতো না হলে ঠিক হলে কী কী বিপদ ঘটে যেতে পারে বলুন তো ? আলোচনায়  পুষ্টিবিদ ড. অনন্যা ভৌমিক


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদিনের এক তৃতীয়াংশ সময় ঘুমের প্রয়োজন। নইলে শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।  ভাল ঘুম না হওয়ার সমস্যা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তাহলে কিন্তু তা নানা রোগ ডেকে আনে। ঘুম কম হলে কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মধুমেহর সমস্যা, সবই হতে পারে। এর থেকে হার্টের উপর চাপ পড়তে পারে। কম ঘুমে বাড়তে পারে ওজনবৃদ্ধির সমস্যাও। তাই ডায়েট কন্ট্রোল করছেন, অথচ রাতের ঘুমটা ঠিক মতো ঘুমোচ্ছেন না, তাহলে কিন্তু বেশ মুশকিল। আসতে পারে - 



  • স্থূলতা (obesity)

  • হার্টের অসুখ (heart disease)

  • উচ্চ রক্ত চাপ ( High BP) 

  • মধুমেহ ( diabetes ) 

  • মানসিক অস্থিরতা ( Mental Stress)

    পুষ্টিবিদ ড. অনন্যা ভৌমিক জানালেন,  কীভাবে জীবন শৈলিতে অল্প বিস্তর পরিবর্তন এনে ঘুমের কোয়ালিটিটা ভাল রাখা যেতে পারে।   সেই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে ঘুমের কোয়ালিটির বিষয়টিও। তা বলে কি ওষুধ খেয়ে ঘুম ? না।  বড়রকমের স্লিপিং ডিজঅর্ডার বা অন্য কোনও অন্তর্নিহিত রোগ না থাকলে, জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলেও ভাল ঘুম সম্ভব।

    কতটা ঘুম জরুরি 

  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৬-৮ ঘণ্টার কম ঘুম হলে চলবেই না। তবে ছোট্ট শিশুদের কম ঘুম হলে চিন্তা করবেন না। ১ বছরের থেকে একটু বড় শিশুরা ১০-১২ ঘণ্টা ঘুমোতেই পারে।

    কিছু নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি 

  • নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘুমনোর অভ্যেস করা ঘুমের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব জরুরি। ঠিক সময়ে শুয়ে পড়া, সেই অনুসারে ডিনার সারা ও নিয়মমাফিক আপনি যদি কোনও ওষুধ খেয়ে থাকেন, তা খেয়ে নেওয়া খুব জরুরি।

  • ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছু খাবার খেলে ঘুম ভাল হয়। তার মধ্যে পালং-এর জুস খেতে পারেন। টার্ট চেরিও ভাল ঘুমের অনুঘটক। 

  • ডার্ক চকোলেট ভাল ঘুমের সহায়ক। ম্যাগনেশিয়াম যুক্ত খাবার শরীরকে আরাম দেয়। ঘুম আসতে সাহায্য করে।

  • তৈলাক্ত মাছ ভাল ঘুমের অনুঘটক। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস এই তৈলযুক্ত মাছগুলি।  সেই সঙ্গে আবার মেলাটোনিনের উৎসও বটে। 

  • পেস্তা-আমন্ডও জাতীয় বাদামও ঘুমের আগে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। 

  • ডিম খেতে পারেন নিয়মিত। মেলাটোনিনের উৎস কিন্তু।

  • ডিনার হাল্কা হওয়া জরুরি, যাতে হজমের সমস্যা ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটায় । 

  • ঈষৎ উষ্ণ দুধ খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। রাতে শোওয়ার আগে হালকা গরম সহজপাচ্য একগ্লাস দুধ খেতে পারেন।