নয়া দিল্লি : এখনও দূর করা সম্ভব হয়নি যক্ষ্মার বিপদ । এনিয়ে সচেতনতা-সতর্কতা অব্যাহত। সংক্রমণ ঘটিত এই রোগ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতেই ফি বছর ২৪ মার্চ পালিত হয় বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এই রোগে ফি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হন।
অনেকেই জানেন না যে, যক্ষ্মা একটি নিরাময়যোগ্য রোগ। যা বছরের পর বছর ধরে সনাক্ত করা যায় না অনেক সময়। যা রোগীর জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। দেখে নেওয়া যাক- বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের ইতিহাস, থিম, তাৎপর্য।
বিশ্ব টিবি দিবস : ইতিহাস-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজকের দিনটিকেই ওয়ার্ল্ড টিবি ডে হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কারণ, ১৮৮২ সালে আজকের দিনেই রবার্ট কোচ মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকুলোসিস আবিষ্কার করেছিলেন। টিউবারকুলোসিস ছড়িয়ে পড়ার পিছনে রয়েছে এই ব্যাক্টেরিয়াম।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২২ : বিষয়বস্তু -
WHO-এর মতে, বিশ্ব টিবি দিবস ২০২২-এর থিম হল 'Invest in TB, Save Lives'। এটি বিনিয়োগের উপর জোর দিচ্ছে যা আমাদের সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, এটি নির্মূল করতে এবং এইভাবে লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচাতে সহায়তা করতে পারে।
WHO-এর লক্ষ্য, যক্ষ্মা রোগের জন্য সমান যত্ন এবং প্রতিরোধ সুবিধা প্রদান করা ।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২২ : তাৎপর্য-
যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য একটি দিন উৎসর্গ করা গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এটি একটি পুরানো রোগ বলে মনে হলেও, বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ এখনও এটিতে ভুগছে।
২০১৬ সালে, প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ টিবিতে সংক্রমিত হয়েছিল, সারা বিশ্বে ২ বিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১.৭ মিলিয়নের টিবি-জনিত রোগে মৃত্যু হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বের যক্ষ্মা সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পেয়েছে ভারত।