Paneer Eating Benefits: নিরামিষ ভোজীদের কাছে পনির অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার। তবে শুধু নিরামিষ প্রেমীরা নন, আমিষ খেতে পছন্দ করেন এমন অনেকেই পনির খেতে ভালবাসেন। আবার অনেক আমিষ প্রেমী কিন্তু পনিরের নাম শুনলেই নাক সিঁটকে দেন। তাঁদের ধারণা পনির শুধুই একটা নিরামিষ খাবার। তবে পনির খাওয়ার কিন্তু অনেক উপকারিতা রয়েছে। কী কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে জেনে নেওয়া যাক। পনির দিয়ে মশলাদার খাবার যেমন তৈরি করা যায়, তেমনই বেশ স্বাস্থ্যকর পদও চট করে বানিয়ে ফেলা যায় পনির দিয়ে। যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁরা পাতে রাখতে পারেন পনিরের কাবাব। হাল্কা সেঁকে অল্প মশলাতেই এই খাবার তৈরি করা সম্ভব। পনির খেলে কী কী উপকার হবে আপনার শরীর-স্বাস্থ্যের, কীভাবে উপকৃত হবেন আপনি, জেনে নেওয়া যাক। 



  • যাঁরা প্রধানত নিরামিষ খান, তাঁরা পাতে অবশ্যই রাখুন প্রোটিন যুক্ত পনিরের বিভিন্ন পদ। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার শরীরের বিভিন্ন টিস্যুর খেয়াল রাখে। নিরামিষ ভোজীদের শরীরে অ্যানিমাল প্রোটিন সেভাবে পৌঁছয় না, যেহেতু তাঁরা আমিষ খান না। সেক্ষেত্রে পনির খাওয়া জরুরি। তাহলে প্রোটিনের ঘাটতি এড়ানো সম্ভব হবে। 

  • প্রোটিন ছাড়াও পনিরের মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন। তার ফলে হাড়ের গঠন মজবুত হয়। ক্ষয় রোধ করা সম্ভব। সহজে হাড় ভেঙে যাবে না। পড়ে গেলে খুব সহজে হাড়ে চোট-আঘাত পাবেন না। 

  • পনির খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে আপনার। তাই ব্রেকফাস্টে পনিরের কোনও খাবার রাখতে পারেন আপনি। পনিরের মধ্যে ফাইবারও রয়েছে। তাই এটা খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকবে আপনার। 

  • পনিরে আছে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই উপকরণ ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের রোগীরা খেতে পারেন। পনির খাওয়ার পর আচমকা ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যাবে না। 

  • পনির কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তার ফলে ভাল থাকে হার্ট। কমে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি। ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলে সার্বিক ভাবেই ভাল থাকবে হার্টের স্বাস্থ্য। 

  • ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবেও কাজ করে পনির। এর মধ্যে রয়েছে জিঙ্ক। তাই পনির খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ইমিউনিটি বাড়লে সহজে অসুস্থ হয়ে যাবেন না আপনি। 


আরও পড়ুন- ফোনের মারাত্মক নেশা, বুঁদ হয়ে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, সহজে কাটাবেন কীভাবে? 


আরও পড়ুন- ব্রেকফাস্টে 'মর্নিং বুস্টার' হিসেবে কোন কোন খাবার রাখা জরুরি? কী কী অবশ্যই বাদ দেবেন? 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।