Blood Pressure: হাই ব্লাড প্রেশার (High Blood Pressure) অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে আপনি গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণভাবে জরুরি। দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসের (Healthy Food Habits) মাধ্যমেও আপনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে কী কী খাবার খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।


মিষ্টি আলু- ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামে ভরপুর মিষ্টি আলু উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা কমাতে বলা ভাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের সাহায্যেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।


ওটস- জলখাবারে অনেকেই ওটস খেয়ে থাকেন। এই উপকরণও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। এছাড়াও ওটস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে ওটস।


সবুজ শাক- সবুজ পাতাজাতীয় শাকসবজি যেমন পালংশাক, কালে- এইসব সার্বিকভাবেই আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। একাধিক পুষ্টি উপকরণ অর্থাৎ নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে এইসব শাকসবজির মধ্যে। পালংশাক, কালে এইসব সবুজ পাতাজাতীয় সবজির মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম এবং নাইট্রেট। এই দুই উপকরণ আমাদের শরীরে থাকা ব্লাড ভেসেলগুলিকে শিথিল করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।


কলা- কলার মধ্যে রয়েছে একাধিক গুণ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই ফল। এছাড়াও কলা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে খুব খিদে পেলে আপনি কলা খেতে পারেন। কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা আমাদের শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে রক্তচাপ সঠিক মাত্রায় বজায় থাকে। নাহলে দেখা দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।


স্ট্রবেরি- রক্তচাপের সমস্যা কমানোর জন্য এবং আমাদের শরীরে রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিকভাবে বজায় রাখার জন্য খেতে পারেন স্ট্রবেরি। এই ফলের মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টি উপকরণ। স্ট্রবেরির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস। এই দুই উপকরণ আমাদের সারাদেহে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও হাইপারটেনশন অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।


বিট- বিটের রস খেলে আমাদের শরীরে রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। মূলত শীতের মরশুমে বাজারে বেশি দেখা যায় বিট। আপনি স্যালাড কিংবা তরকারিতে বিট ব্যবহার করতে পারেন। অথবা বিটের রস করেও খেতে পারেন। বিটরুট- এইসব রুট জাতীয় ফল কিংবা সবজির মধ্যে নাইট্রেটের মাত্রা বেশি থাকে। আর এই উপকরণ আমাদের শরীরে রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য প্রতিদিনের জীবনে সকাল থেকে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?