Hemoglobin: আমাদের সুস্থ থাকার জন্য শরীরে হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin) সঠিক মাত্রায় বজায় থাকা খুবই জরুরি। মূলত হিমোগ্লোবিন সারা শরীরে অক্সিজেনের সঠিকভাবে (Oxygen Circulation) সঞ্চালনে সহায়তা করে। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের ঘাটতি হলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হয়েছে আপনার শরীরে
- অত্যন্ত ক্লান্তি লাগতে পারে আপনার। অল্প পরিশ্রমেই অবসন্ন হয়ে যেতে পারেন আপনি। শরীর দুর্বল থাকতে পারে।
- বুকে ব্যথা হতে পারে আপনার। শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। এছাড়াও আচমকা হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে।
- মাথায় ব্যথা হতে পারে। ঝিমানি বা ঝিম ধরা ভাব অনুভব করতে পারেন। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার সমস্যা লক্ষ্য করা যেতে পারে।
- নখ ভঙ্গুর প্রকৃতির হয়। জিভে জ্বালা করতে পারে। ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে।
উল্লিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার হিমোগ্লোবিনে ঘাটতি হয়েছে। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। ওষুধপত্র ছাড়াও কিছু ফল এবং সবজি রয়েছে যা খেলে এমনিতেই আপনার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
এবার দেখে নেওয়া যাক আপনি কী কী খেতে পারেন
- বেরি অর্থাৎ জাম জাতীয় ফলের মধ্যে আয়রন বৃদ্ধির উপকরণের সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ভিটামিন সি। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে এই ফল।
- বেদানার মধ্যে রয়েছে ভরপুর আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার। এই তিনটি উপকরণই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- সাইট্রাস ফ্রুটস অর্থাৎ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি- এর মাধ্যমে মানবদেহে আয়রন শোষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
- সবুজ রঙের ফুলকপি, ব্রকোলির মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। এর মধ্যে আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন সি রয়েছে যেগুলি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখে।
- পালং শাক খাওয়ার যে অনেক গুণ তা প্রায় সকলেরই জানা। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- বিটরুট খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ভাল থাকে। আয়রন, ফোলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকে বিটরুটের মধ্যে। এগুলি হিমোগ্লোবিন সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের শরীরে সঠিক মাত্রায় হিমোগ্লোবিন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে সারা দেহে অক্সিজেন ভালভাবে সঞ্চালিত হয় এবং রক্তের পরিমাণও ঠিকঠাক থাকে।
ডিসক্লেইমার :কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।