Vitamin K Rich Foods: আমাদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি (Vitamin Deficiency) হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে ভিটামিন কে (Vitamin K) মানবদেহের জন্য খুবই জরুরি একটি উপকরণ। ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার খেলে হাড়ের গঠন মজবুত ও সুদৃঢ় হয়। এর পাশাপাশি ক্ষতস্থানে দ্রুত রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত রোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখে। এছাড়াও কোষের ক্ষয় রোধ করে, খেয়াল রাখে ত্বকের, ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে।


এবার দেখে নেওয়া যাক ভিটামিন কে- এর ঘাটতি রোধ করার জন্য আপনি নিয়মিত কী কী খাবার খেতে পারেন


ব্রাসেলস স্প্রাউটস- এই সবজি একদম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাঁধাকপির মতো হয়। এটি একটি ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার। এর মধ্যে রয়েছে ভরপুর ফাইবারও। প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে এবং শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা সঠিক ভাবে বজায় রাখতে এই সবজি সাহায্য করে।


ব্রকোলি- সবুজ রঙের ফুলকপির মতো দেখতে এই সবজির রয়েছে অনেক গুণ। অনেকে তরকারিতে এইসবজির ব্যবহার করেন। আবার স্বাস্থ্যকর স্যালাডের ক্ষেত্রেও ব্রকোলি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। ভিটামিন কে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ ব্রকোলি আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এর পাশাপাশি হজমশক্তি ভাল করে এবং ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা কমায়।


স্পিনাচ বা পালং শাক- পালং শাক খাওয়ার অনেক গুণ রয়েছে। এই শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। পালং শাক খেলে এর মধ্যে থাকা ভিটামিন কে আমাদের কীভাবে উপকার করে একনজরে দেখে নেওয়া যাক। পালং শাকের মধ্যে থাকা ভিটামিন কে আমাদের দেহে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। এর ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে। সেই সঙ্গে হাড়ের গঠন সুদৃঢ় এবং মজবুত হয়।


মাস্টার্ড গ্রিনস অর্থাৎ সরষে শাক- এই ধরনের শাক খাওয়ার চল রয়েছে আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মূলত এই শাক জনপ্রিয় পাঞ্জাবে। এই শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। সরষে শাকের মধ্যে থাকা ভিটামিন কে ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করে। এছাড়াও হৃদযন্ত্রের অর্থাৎ হার্টের বিভিন্ন অসুখ থেকে আপনাকে দূরে রাখে। সরষের শাকের মধ্যে থিয়ামিন এবং নিয়াসিন নামে দু'টি উপকরণ রয়েছে যা ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।


কালে- এটি একপ্রকারের শাক। সবুজ রঙের এই শাকজাতীয় সবজি খাওয়ার অনেক গুণ রয়েছে। এই শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। ভিটামিন কে ছাড়াও কালে- এই শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। তার ফলে আমাদের হাড়ের গঠন সুদৃঢ় হয়। একই সঙ্গে কোষের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।


ডিসক্লেইমার :কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। 


আরও পড়ুন- বায়ু দূষণের জেরে গলায় সংক্রমণ, আরাম এবং উপকার পেতে খেতে পারেন এই চার ধরনের চা