Heart Attack In Youth : হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এখন আর কেবল বয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কম বয়সে হৃদরোগে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। বেড়েই চলেছে সংখ্যাটা। কোভিড পরবর্তী কালে এই প্রবণতা বেড়েছে নিঃসন্দেহে। এর কারণ নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যেই নানারকম মত রয়েছে। তবে হালে হার্ট অ্যটাকের আরেকটি প্রবণতার কথা তুলে ধরেছেন কার্ডিওলজিস্ট শ্রীরাম নেনে, যা সত্যিই উদ্বেগের। ইদানীং দেখা যাচ্ছে,তরুণদের মধ্যে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আর চিকিৎসার সময় পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মানুষরা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, কোনও আগাম লক্ষণ ছাড়াই।
সম্প্রতি মাধুরী দীক্ষিতের স্বামী চিকিৎসক শ্রীরাম নেনে একটি পডকাস্টে এই নিয়ে কথা বলেছেন । রণবীর এলাহাবাদিয়ার পডকাস্ট 'দ্য রণবীর শো'-এর একটি পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন নেনে। তিনি সেখানেই তরুণদের মধ্যে সাডেন হার্ট অ্যাটাকের কারণ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় হৃদপিণ্ডের পেশীর কোনও অংশে রক্ত প্রবাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত তিনটি প্রধান করোনারি ধমনীর একটিতে ব্লকেজ থাকার কারণে এই বিপদ আসে। তখন হৃৎপিণ্ডের সেই অংশে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছতে পারে না। সেটাই হার্ট অ্যাটাকের কারণ। ঠিক সেই সময়ই বুকে ব্যথা অনুভব হয়। এই ব্যথা হাতে ছড়িয়ে যেতে পারে। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ঘাম হয়। বুক ধড়ফড় করে। তবে এই লক্ষণগুলিও অনেকের হয় না। তিনি বলেন, ২০ শতাংশ রোগীর মধ্যে এই সব লক্ষণওদেখা যায় না। হঠাৎ তাঁরা কিছুটা অসুস্থ বোধ করেন। তার পর হঠাৎই চেতনা হারান। তারপর হয়ত লুটিয়ে পড়েন। ব্যস্, অনেক ক্ষেত্রে এখানেই তাঁদের জীবনটা থেমে যায়।
বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরাই মনে করছেন, ইদানিং যে মানসিক চাপ মধ্যে দিয়ে তরুণরা যান, তা বিপজ্জনক। সেই সঙ্গে বসে কাজের অভ্যাসও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ধূমপান সেই অবস্থা আরও খারাপ করে। ঝুঁকি বাড়াতে পারে খাদ্যাভ্যাস। ডায়াবেটিস বা রক্তের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অবস্থার অবনতি ঘটায়। ভারতে ইদানিং দেখা যাচ্ছে, ৪৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কোভিড পরবর্তী সময়ে এই প্রবণতা বেড়েছে।
চিকিৎসক নেনে বলেন, এর কারণ বোঝা মুশকিল। তবে এই ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে, কোনও লক্ষণ থাক বা না-থাক, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, হার্টের স্ক্রিনিং করানো আবশ্যক। এই বিষয়ে পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। এছাড়া সুষম খাদ্যের অভ্যেস, নিয়মিত ব্যায়াম করা, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এছাড়াও যে কোনও ধরনের তামাক ও অ্যালকোহল এড়ানোও বাঞ্ছনীয়।
এছাড়া সতর্ক থাকুন, অকারণ ক্লান্তি, বুকে বা চোয়ালে অস্বস্তি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখলে।