কোভিড পরবর্তী সময়ে কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়ার পিছনে কোভিডের ভূমিকা অস্বীকার করার কোনও জায়গাই নেই। আবার কারও কারও মতে কোভিডের পরোক্ষ প্রভাব থাকলেও, হার্টের অসুখের বাড়বৃদ্ধির কারণ যুবসমাজের জীবনযাত্রার ধরন ও কিছু খাদ্যাভ্যাস।
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট পপুলার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিমিত্রি ইয়ারানোভ সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার রা ভিডিওয় বলেছেন, হাল আমলে জিম, ফিটনেস স্টুডিও থেকে অনেক ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রি করা হয়। ফিটনেস-ফ্রিক ক্রেতা দেখে, অনেক মেডিক্যাল স্টোর থেকেও এ ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রি করা হয়। এই সব খাবার শরীর গঠনে সাহায্য করলেও আদতে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট ইদানিং বেশ পপুলার হয়ে উঠেছে। এগুলি বিক্রিতে উৎসাহ জোগায় জিম ইনস্ট্রাকটররা। তার পিছনে বাণিজ্যিক কারণও থাকে। দ্রুত কাঙ্খিত ফল লাভের জন্য এই সাপ্লিমেন্টগুলি কিনে খেতে শুরু দেন অনেকেই। ২০ থেকে ৩০ বছরের যুবক-যুবতীরা এইসব এই প্রোটিন পাউডারগুলির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ এবং পুষ্টির উৎস হয়ে উঠেছে। কিন্তু এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোজ জিম করা, পেশীবহুল পুরুষরা হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা গেলেন। তার পিছনে এটা কারণ হতে পারে। চিকিৎসকের মতে, পেশী গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি এবং বিপাকীয় ক্রিয়া ঠিক রাখার জন্য প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু উচ্চমাত্রায় প্রোটিন সমৃদ্ধ এইসব সাপ্লিমেন্টগুলি কিন্তু শরীরের পক্ষে খুব একটা ভাল নয়। কারণ এই প্রোটিন এমন উৎস থেকে আসে যা LDL বা খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। এসব প্রোটিন পাউডারের প্রোটিন হুই নামে একটি দুগ্ধজাত পণ্য বা কেসিন থেকে তৈরি করা হয়। এগুলো কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এর সঙ্গে যাঁরা প্রোটিন ডায়েটে থেকে , বেশি রেড মিট, ডিম এবং দুগ্ধজাত খাবার খান, তাঁদের বিপদ বাড়ে। চিকিৎসকের মতে, শুধু প্রোটিন খেলেই তো হবে না। উৎস জানাও গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে ধূমপান করা, জাঙ্ক ফুডে আসক্তি, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।