হার্ট অ্যাটাক ও ডায়েট
হার্ট ভাল রাখতে কী খাবেন , আর কী খাবেন না, এই নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। তবে অনেকেই বলেন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের জন্য সর্বোত্তম । কারণ এই ধরনের খাবারে শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন কম হয়। এবার ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্যাভ্যাস কী আর সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে সম্ভব? সেই সব খাবারের জোগান পাওয়াও তো মুশকিল। তাই দিল্লি এইমস অন্যান্য প্রিমিয়াম ইনস্টিটিউটের গবেষক দলের সঙ্গে জোট বেঁধে তৈরি করলেন এমন ডায়েট চার্ট,যা ভারতীয় খাবার দিয়েই তৈরি তবে উপকারী ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ডায়েটের মতোই।
দিল্লির এইমস, দিল্লির জর্জ ইনস্টিটিউট অফ গ্লোবাল হেলথ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক এবং গবেষকরা বহুদিন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে, হার্টের রোগীদের জন্য বিশেষ একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করেন। করোনারি আর্টারির সমস্যয় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য আদর্শ ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য (IAMD) মডেলে তৈরি ভারতীয় ডায়েট। এই খাদ্যতালিকায় মূলত রাখা হয়েছে উত্তর ভারতীয় রেসিপিগুলি ।
কী কী খাবার তালিকায়
দিল্লি এইমস-এর কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ অম্বুজ রায় বলেন , হৃদরোগে আক্রান্ত বা হৃদরোগের ঝুঁকি যাঁদের বেশি,তাঁরা এই ডায়েট চার্ট ফলো করলে উপকার পেতে পারেন। দিল্লির AIIMS-এ একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালও চলছে । পরে হয়ত এই খাবারের তালিকায় উত্তর ভারতের খাবারগুলির পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই খাবারগুলি ডায়েটারি ইনফ্ল্যামেটরি ইনডেক্স (DII) বেশ নিচের দিকে। অর্থাৎ এই খাবার গুলি থেকে প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা সব থেকে কম। এই তালিকায় রাখা হয়েছে, ফল, শাকসবজি, ডাল এবং নানারকমের বাদাম। এছাড়া রাখা হয়েছে হোল গ্রেনস। শরীরের প্রয়োজন 'গুড ফ্যাট'ও। তাই এই চার্টে রাখা হয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং মাছও।
উত্তর ভারতের কী কী খাবার তালিকায়?
উত্তর ভারতের প্রচলিত গোটা শস্য যেমন বাজরা, ডাল, নানারকম মশলা এবং স্বল্প পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলিকে গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষকরা। উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনর মাছ খাওয়া হয়। হলুদ এবং গোটা মশলাও রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে দেখতে গেলে, এই ডায়েট চার্টে মূলত রয়েছে শাকসবজি এবং বেশি পরিমাণ ফল। এছাড়া রয়েছে মরসুমি ফল এবং ভিটামিন সি, ই, এ এবং ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ খাবারও।