কলকাতা: প্রতিবছরই চৈত্র থেকেই কাঠফাটা রোদে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় ভারতের বিভিন্ন এলাকায়। এই বছরে আরও বাড়বে গরম। সেই পূর্বাভাস আগেভাগেই দিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। দেশের একটি বড় অংশে মার্চ থেকেই তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় সেই তাপের প্রভাবও পড়ছে।
আগামী কয়েকদিনে এই তাপপ্রবাহ ক্রমশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে India Meteorological Department (IMD)। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি শরীরে উপরেও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। একাধিক সমস্যায় মুখোমুখি হতে পারি আমরা।
ডিহাইড্রেশন, Heat Cramps, অতিরিক্ত তাপের কারণে ক্লান্তি, হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু কাজের জন্য তো রোদে বেরতেই হবে। তাই রোদ থেকে বাঁচতে বেশ কিছু দিকে খেয়াল রাখতেই হবে। পাতলা সুতির কাপড় পরা, টুপি ও ছাতা ব্যবহার করার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে খাবারেও।
কোন কোন দিকে খেয়াল:
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করার দিকে নজর রাখতে হবে। হাইড্রেশনের দিকে নজর রাখা উচিত। বাইরে বেরলেই সবসময় সঙ্গে জলের বোতল রাখুন। জলে সামান্য নুন-চিনি মিশিয়ে রাখতে পারেন।
ছাতুর সরবত লু রুখতে অত্যন্ত কার্যকরী। ডাবের জল, নারকেলের জল, বাটারমিল্ক, লেবুর সরবত খেলে তাপপ্রবাহ দূরে রাখা যাবে।
গরমের সময় চা বা কফি যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিক। ক্যাফেইন রয়েছে এমন পানীয় বাদ রাখলেই ভাল হয়। কারণ ক্যাফেইন-যুক্ত পানীয় ডিহাইড্রেশন করায়।
শসা, তরমুজ, টম্যাটো, জামরুলের মতো ফল বেশি করে খেতে হবে। এতে শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকবে, ডিহাইড্রেশন এড়ানো যাবে। তবে গরমের সময় বেশিক্ষণ করে ফল কেটে রাখা উচিত নয়। যত দ্রুত সম্ভব ফল কেটে খেয়ে নেওয়া উচিত।
পানীয়ে পুদিনা পাতা দিন, ফ্রেশ অনুভব করবেন। তরমুজে প্রভূত পরিমাণে খনিজ ও শর্করা রয়েছে। শরীর হাইড্রেট করতে সাহায্য করবে। টম্যাটোয় রয়েছে বিপুল পরিমাণ ভিটামিন সি।
জিরে ভেজানো জল রাখতে পারেন ডায়েটে। পেট ঠান্ডা থাকবে। হলুদ ভেজানো জলও পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। সঙ্গে থাকুক দই ও দইজাতীয় খাবার।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।