কলকাতা : কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ। যা মানুষের শরীরে থাকবেই। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে কোলেস্টেরল। কিন্তু কখন কোলেস্টেরল সমস্যায় ফেলে ? এলডিএল হল খারাপ কোলেস্টেরল। অপরদিকে ভালো কোলেস্টেরল হল এইচডিএল। এই এলডিএল বাড়লেই সমস্যা। আর তার কারণ অনেকটাই আমাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়েট। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়া মানেই স্ট্রোক (Stroke), হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) মতো সমস্যার দিকে এগিয়ে যাওয়া। এই পরিস্থিতিতে কী খাবেন, কী খাবেন না। জানাচ্ছেন ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিক। 

ডিসলিপিডিমিয়া। মানেই কোলেস্টেরল হাই, ট্রাইগ্লিসারাইড হাই, LDL হাই আর HDL লো। লিপিড প্রোফাইল স্বাভাবিক করতে নিতে হবে সঠিক ডায়েট।মনে রাখতে হবে যে কোনও রকম তেলে ভাজা জিনিসই ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে। কোনও তেলই কিন্তু কোলেস্টেরল সমস্যায় জর্জরিত রোগীর পক্ষে ভাল নয়। তা তৈল প্রস্তুতকারক সংস্থা যতই দাবি করুক না কেন ! 



  • নজর রাখুন, কোলেস্টেরল বেশি মাত্রায় থাকলেও চোখের নিচে হলদেটে ভাব দেখায়। অনেক সময় ছোট ছোট থলির মতো ফুলে যায় চোখের আশপাশ।

  • আপনার পা, কোমরের নিচের অংশ, থাই এবং পায়ের পাতায় ক্র‍্যাম্প ধরছে ? এই লক্ষণগুলোকে বাতের ব্যথা বা স্ট্রেস বলে উড়িয়ে না দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন।

  • ঘাড় ও মাথার পিছনে ভীষণ ব্যথা হচ্ছে মাঝে মাঝেই? ফিরে ফিরে আসছে ব্যথা ? এটাও কোলেস্টেরলের লক্ষণ কিন্তু।

  • কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ বুক ধড়ফড় করছে ? মনে হচ্ছে, হৃদপন্দন বেড়ে গিয়েছে ? তাহলে কোলেস্টেরল পরীক্ষা তো করাতেই হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্লাড প্রেসারও পরীক্ষা করান। 

    কী খাবেন , কী খাবেন না : 

  • তেলে ভাজা কোনও জিনিসই খাওয়া যাবে না। তা চিপস থেকে শুরু করে মাছ ভাজা কিছুই চলবে না । 

  • প্রতিদিন অন্তত একটা মরসুমি ফল খেতে হবে। 

  • দরকার মরসুমি শাকসব্জি। তা কিন্তু ভেজে নয়। 

  • ব্রেড খেতে চাইলে ব্রাউন ব্রড খান। 

  • ফাইবার রিচ ডায়েটে মন দিন। 

  • চাউমিনের বদলে রাইস খাওয়া ভাল। কারণ তাতে ময়দা নেই। 

  • যথেষ্ট পরিমাণে জল খেতে হবে। 

  • খারাপ কোলেস্টেরল বেশি থাকলে ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

  • অনেকের ধারণা 'নো কোলেস্টেরল' লেখা তেল খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটা ভুল ধারণা। তেল খাওয়া যাবে না। 

  • ডিমের কুসুম একেবারেই খাওয়া যাবে না তা নয়। ডিমের কুসুম খাওয়ার জন্য হাই কোলেস্টেরল হল, এমনটা কিন্তু বিজ্ঞান বলে না। 

  • ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে । 

  • ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে। 

  • ঘি, বাটার, ডালডা এগুলো একেবারেই বারণ।

  • প্যাকেজড বা ফ্রায়েড ফুড বারণ। 

  • মেয়োনিজ ও মার্জারিন একদমই বারণ। 

  • খেতে পারেন গুড ফ্যাড।