কলকাতা: রবিবার দোল। রঙের উৎসব। আপনজনকে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। আর সেদিনই নাকি ঋদ্ধিমান সাহাকে পাড়ি জমাতে হচ্ছে চেন্নাই। আইপিএল খেলতে। চেন্নাইয়ে হচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রস্তুতি শিবির।


তবে দোলের গল্প করতে গিয়েই বাংলার তারকা ক্রিকেটারের মনে পড়ছে শিলিগুড়ি। যেখানে কেটেছে তাঁর শৈশব, কৈশোর। দোলের দিন জমিয়ে মজা করতেন শিলিগুড়ির 'পাপালি' (ঋদ্ধিমান সাহার ডাকনাম)। আইপিএল খেলতে রওনা হওয়ার আগে ময়দানের কালীঘাট ক্লাবের নেটে প্র্যাক্টিস করলেন ঋদ্ধিমান। সেখানেই তিনি দোলের গল্প জুড়লেন এবিপি লাইভের সঙ্গে। বললেন, 'দোল যেটুকু খেলেছি, সবটাই ছোটবেলা। বড় হওয়ার পর কলকাতায় চলে আসি। আর সেভাবে রং খেলা হয়নি। খেলিনিই বলা চলে। তাছাড়া ম্যাচ থাকলে বেশিরভাগ সময়ই বাইরে কাটাতে হয়েছে।' 


কেমন ছিল ছোটবেলার দোল? ঋদ্ধিমান বলছেন, 'যেটুকু মনে আছে, ছোটবেলায় শিলিগুড়িতে পরিবারের সকলের সঙ্গে, ভাই-বোনদের সঙ্গে দোল খেলতাম। বেলুনে রং ভরে ছোড়া হতো। পিচকিরি দিয়েও রং মাখাতাম সকলকে। আবিরও খেলতাম। তবে অনেকে আছে মারাত্মক রং খেলে। আমি সেভাবে কোনও দিনই খেলিনি। নিরাপদভাবেই রং খেলতাম।'


গোটা গায়ে রং, তাই নিয়েই সিনেমার প্রোমোশনে গিয়েছিলেন স্বস্তিকা


তবে দোলে আর পাঁচজন বাঙালির মতো খুনসুটিও চলত ঋদ্ধিদের। 'আমার ছোটবেলায় বাড়িতে যে সমস্ত মেয়েরা ছিল, যেমন মা-পিসি, তাদের শুধু আবির দিতাম। তবে ছেলেরা দোলের দিন জমিয়ে উপভোগ করতাম। হাতের কাছে যা পেতাম, তাই দিয়েই খেলা হতো। গায়ে-মাথায় দুধও ঢেলে দিয়েছি। জলে সার্ফ গুলে নিতাম। তারপর সেই সাবান জল সকলকে মাখানো হতো। অনেক সময় পাকা কুল ছুড়ে মারতাম। গায়ে লেগে তা ফেটে যেত। যাকে লক্ষ্য করে ছোড়া হতো, সে তখন মাখামাখি। তবে সেই খেলা হতো বাড়ির মধ্যে। বাড়ির বাইরে গেলে সীমিতভাবে খেলা হতো। নিরাপদে রং খেলতাম,' বলছেন জাতীয় টেস্ট দলের উইকেটকিপার।


দোলের দিন স্নান করার ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন খরাজ


দোলে কলকাতায় থাকলে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটান ঋদ্ধিমান। বলছেন, 'পরিবারের সঙ্গেই যতটুকু সম্ভব রং খেলি। স্ত্রী রোমি (দেবারতি সাহা) দোল খেলতে খুব একটা পছন্দ করে না। রঙে ওর অ্যালার্জি আছে। অনেকেরই থাকে। আমারও রঙে অ্যালার্জি আছে। ছোটবেলায় বুঝতে পারতাম না। বড় হয়ে সেটা বুঝি। তারপর থেকে অল্পসল্প রং খেলেছি। এখন তো বাড়িতে দুই খুদে সদস্য। ওদের সঙ্গেই সময় কাটাব।'