কনজাঙ্কটিভাইটিস (conjunctivitis) থেকে রক্ষা পাওয়ার কি কোনও উপায় নেই? আশেপাশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এরই মধ্যে সকলের আশঙ্কা, কোনওভাবেই কি এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়? আছে কি কোনও উপায় ? এই নিয়ে এবিপি লাইভের তরফে কথা বলা হয়েছিল বিখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কৌশিক বিশ্বাসের সঙ্গে। এবিপি লাইভের দর্শকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি। 



প্রতিবেশী কারও বাড়িতে কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে কী করা যায়

ডাক্তারবাবুর পরামর্শ, সাধারণত কনজাঙ্কটিভাইটিসের ক্ষেত্রে ইনফেকশন ৩-৪ দিনের পর থেকে কমতে শুরু করে। তখন থেকে রোগ সংক্রমণের হার কমে। তাই কারও এই সমস্যা হয়েছে জানলে, সেই বাড়িতে যাওয়া এড়িয়ে চলতে পারলে ভাল, অন্তত ৫-৭ দিন। আপনার পরিবারের কারও যদি কনজাঙ্কটিভাইটিস না হয়ে থাকে , তাহলে সাধরণ কিছু নিয়ম মেনে চলুন। যেমন, চোখে হাত না দেওয়া, পরিষ্কার কাপড়ে চোখ মোছা, দিনে ৪-৫ বার জল দিয়ে চোখ ধোয়া দরকার।

কী ধরনের আইড্রপ ব্যববার করা যায়

ব্যাকটেরিয়াল ও ভাইরাল কনজাঙ্কটিভাইটিসের ওষুধের তফাৎ আছে। ব্যাকটেরিয়াল কনজাঙ্কটিভাইটিসের ক্ষেত্রে ফোলাটা বেশি হয়, বেশি লাল হয়, প্রথম কয়েকদিন যন্ত্রণাটা বেশি থাকে। ভাইরাল কনজাঙ্কটিভাইটিসে অতটা যন্ত্রণা হয় না, যদি না তা কর্নিয়ায় ছড়ায়। এবার কার কোন আইড্রপ ব্যবহার করা দরকার, তা জানতে ক্লিক নিচের ভিডিওটিতে শুনুন বিস্তারিত। ১ বছরের কম শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে ওষুধ চালু করা দরকার। 


একবার জয় বাংলা হলে, আবারও কি হতে পারে ?


গত ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে যদি কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকেন ও অ্যান্টিবায়োটিক আইড্রপের সম্পূর্ণ কোর্স করে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে আবারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে যদি কেউ ২-৩ মাস আগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে, আবারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই সাধারণ সাবধানতা অবলম্বন করতেই হবে। 


শিশুদের ক্ষেত্রে কী কী সাবধানতা 

বাড়ির কারও হলে তাকে শিশুর থেকে একেবারে আলাদা থাকতে হবে। তার কোলে ওঠা বা তার জিনিসপত্রের কাছাকাছি যাওয়া বা ব্যবহার করা এড়িয়ে চলতে হবে । 

কনজাঙ্কটিভাইটিস কারও হলে কি তার চোখের দিকে তাকালেই আক্রান্ত হতে পারেন? 


এক্ষেত্রে চোখের দিকে তাকানোটা বড় কথা নয়। কিছু কিছু বাতাস বাহিত ভাইরাস কম দূরত্বে সামনের মানুষটিকে আক্রান্ত করতে পারে। ঠিক যে কারণে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের সময় ২ গজের দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হত। তাই এক্ষেত্রেও আক্রান্তর থেকে দূরত্ব বজায় রাখাটা সুরক্ষার একটি ধাপ। 


মনে রাখতে হবে কনজাঙ্কটিভাইটিস ৩-৪ দিনেই চলে যায়। তবে বাড়াবাড়ি হলে ৫-৭ দিন আইসোলেশনে থাকলে ভাল। স্কুলে কোনও বাচ্চা আক্রান্ত হলেও তাদের সপ্তাহখানেক স্কুলে না আসা উচিত। 



  • কনজাঙ্কটিভাইটিস সংক্রান্ত আরও প্রশ্নের উত্তর জানতে চোখ রাখুন নিচের লিঙ্কে ।