কলকাতা: হেঁচকি (Hiccups) ওঠা খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। সারাদিনে নানা সময়ে মানুষের হেঁচকি ওঠে। কিন্তু অনেক সময়ই এই সমস্যা এত বেশি দেখা দেয় যে তা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে যায়। বহু মানুষের মধ্যে দেখা যায়, এক নাগাড়ে অনেকবার হেঁচকি উঠছে। প্রচুর পরিমাণে জল খেয়েও কিছুতেই হেঁচকি বন্ধ হচ্ছে না। সেই সময় কী করবে অনেকেই বুঝতে পারেন না।


কী কারণে হেঁচকি ওঠে?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নানা কারণে হেঁচকি উঠতে পারে। অত্যধিক মাত্রায় মশলাদার খাবার খেলে, খুব দ্রুত খাবার খেলে কিংবা খুব বেশি পরিমাণে খাবার খেলে হেঁচকি ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও শর্করাজাতীয় পাণীয় খেলে, মদ্যপান করলে হেঁচকি ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে, আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেও এমন সমস্যা দেখা দেয়।


হেঁচকি বন্ধ করার ঘরোয়া পদ্ধতি-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বহু মানুষ হেঁচকির সমস্যা বন্ধ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল খেতে থাকেন। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। হেঁচকি বন্ধ করতে শ্বাস কিছুক্ষণ বন্ধ রাখুন।


২. হেঁচকি বন্ধ করতে হাঁটু জড়িয়ে ধরুন। বেশ কিছুক্ষণ এমন পদ্ধতি মেনে চললে হেঁচকি বন্ধ হয়।


আরও পড়ুন - Heart Attack: হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে কী কী লক্ষণ দেখা দেয়?


৩. হেঁচকির সমস্যা দেখা দিলে উপুর হয়ে শোওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


৪. নাগাড়ে হেঁচকি উঠলে কয়েক সেকেন্ড করে বেশ কিছুবার জিভ বের করে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


৫. এক হাত দিয়ে অন্য হাতের তালু ঘষার পরামর্শ তাঁদের।


৬. হেঁচকি থামাবার জন্য ঠান্ডা জল খাওয়ার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনে বরফের কুঁচি খেতে পারেন।


৭. এক চামক চিনি খেতে পারেন এই সময়ে।


৮. এক টুকরো লেবু চুষে খান।


৯. এক চামক মধু কিংবা পিনাট বাটার খেলে হেঁচকি ওঠার সমস্যা বন্ধ হয়।


১০. জিভে এক ফোঁটা ভিনিগার দিলে এই সমস্যা বন্ধ হয়।


যেকোনও ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলার পরও হেঁচকি বন্ধ না হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।