নয়াদিল্লি: ঝমঝম বৃষ্টি, একহাঁটু জল, কাগজের নৌকো, সঙ্গে পেঁয়াজি বা গরমাগরম পকোড়া। বর্ষা মানে ভাজাভুজির দিকে যেন বাড়তি টান। কিন্তু পেট (stomach) কি সব সময় মনের এই টান বোঝে? ভাজাভুজির 'ওভারডোজ' হলেই বেগড়বাই করে সে। যার অন্যতম উপসর্গ বুক জ্বালা (heartburn)। 


কেন হয়?
পোশাকি নাম অ্যাসিড রিফ্লাক্স (acid reflux)। সাধারণত পাকস্থলীর অ্যাসিড আমাদের খাদ্যনালী বা ইসোফেগাসে চলে এলে তখনই বুক জ্বালা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যাটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক হতে পারে। চিকিৎসা না হলে বা নিয়মিত সমস্যা চলতে থাকলে বড়সড় অসুখের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সময় থাকতে নিয়ন্ত্রণ করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি খারাপ হয় না। কিন্তু কথা হল কী ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে?


ওষুধের 'দাওয়াই'
সমস্যা বেড়ে গেলে বা টানা হতে থাকলে চোখ-কান বুজে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই শ্রেয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, অম্বল থেকে বুক জ্বালা আমাদের কম-বেশি পরিচিত জিনিস। এবং আশার কথা হল কয়েকটি নিয়ম মানলেই এই সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। প্রথমত, মদ-সেবনের পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দেওয়া জরুরি। কারণ মদে অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ বাড়তে পারে যার জেরে বুক জ্বালার সমস্যাও বাড়তে পারে। ধূমপানের ক্ষেত্রে নিয়মের কড়াকড়ি আরও বেশি। যেহেতু ধূমপান স্যালাইভা নিঃসরণ কমিয়ে দেয়, তাই হজমের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই ধূমপান সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। রাতের খাবার যতটা দ্রুত সম্ভব সেরে ফেলা জরুরি। এবং খাওয়াদাওয়ার পর ন্যূনতম ৩ ঘণ্টা জেগে থাকা দরকার। এতে হজমের সম্পূর্ণ সময় পায় পাকস্থলী। তবে কী খাচ্ছেন, সেটাও নজরে রাখা দরকার।
যেমন  ধরুন, হাই-ফ্যাট রয়েছে এমন খাবার কমিয়ে আনা দরকার। একসঙ্গে অনেকটা খাবার খাবেন না। বরং সেটি টুকরো টুকরো করে একাধিক 'মিল'-এ ভেঙে নিন। এর পরও বুক জ্বালা হলে কয়েকটি টোটকা মাথায় রাখুন। পটাশিয়াম-সমৃদ্ধ পাকা কলা খেয়ে দেখতে পারেন। এতে সমস্যা কমার কথা। পুরনো কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, মুখে 'চিউয়িং গাম' রাখলেও সমস্যা কমতে পারে। কষ্ট হলে মাথাটা যথাসম্ভব উঁচু জায়গায় রেখে শোয়ার চেষ্টা করুন।সবচেয়ে বড় কথা, শরীরে বিশেষত তলপেটে কোনও ভাবেই মেদ জমতে দেবেন না। 
তবে এর পরও সমস্যা থাকলে নিজের হাতে সবটা না রেখে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়াই ভালো। 


আরও পড়ুন:ব্যাট হাতে স্মৃতির দাপট, হেলায় পাকিস্তানকে হারাল ভারত