কলকাতা: আমরা যখনই কিছু লেখার চিন্তা করি, অবশ্যই তার পিছনে কোনও উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্যকে purpose of writing বলে। এই উদ্দেশ্য ব্যক্তিগত বা অফিসিয়াল দুই হতে পারে। কেউ আমাদের লিখতে বলতে পারে বা আমরা নিজে থেকেই লিখতে পারি। কিন্তু লেখার দক্ষতা কীভাবে বাড়াতে হবে তার বিশেষ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলি মেনে চললেই সহজেই তৈরি হতে পারে ভাল লেখার হাত।
যেকোন ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে পড়ার কোনও বিকল্প নেই। যে যত পড়বে তার লেখার হাত ততই ভাল হবে।
আনন্দের উদ্দেশ্যে সাধারণত গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ইত্যাদি পড়া হয়। তবে এর মাধ্য়মে আমরা অনেক নতুন নতুন শব্দ ও শব্দের ব্য়বহার সম্পর্কে জানতে পারি। যা লেখার সময় প্রতিফলিত হয়।
আরও পড়ুন...
Travel Tips: সপরিবার বেড়াতে যাচ্ছেন? কোন কোন বিষয় অতি অবশ্যই নজরে রাখা প্রয়োজন, রইল তালিকা
আপনাকে আপনার মনের ভাবগুলোকে গঠনমূলক এবং সৃজনশীলভাবে প্রকাশ করার সুযোগ করে দেয়। মনের ভাব এবং আবেগ ইত্যাদি সাধারণত কথ বলার মাধ্যমেই প্রকাশ করা হয়। কিন্তু, মানুষ তার মনের ভাব লিখে প্রকাশ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং করে এসেছে। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ব্যক্তিগত চিঠি, ডায়েরি, ইত্যাদি ক্ষেত্রে মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। তবে এসবের মধ্য়েও প্রতিদিন যদি ডায়রি লেখা অভ্য়াস করা যায়, তাহলে লেখার হাত উন্নত করা সম্ভব হয়।
জানার উদ্যেশ্যে পত্রিকা, জার্নাল, বিভিন্ন বই, প্রবন্ধ ইত্যাদি পড়া হয়। এই ধরনের লেখাগুলোই আমরা সবচেয়ে বেশি পড়ে থাকি। কোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যেও আমরা এই ধরনের লেখাগুলো পড়ে থাকি। এখান থেকে আরোহন করা জ্ঞান লেখার সময় বিশেষভাবে কাজে লাগে।
কাউকে প্রভাবিত করার জন্যে লেখার থেকে ভাল মাধ্য়ম আর কিছু নেই। এই প্রবর্তনা ইতিবাচক বা নেতিবাচক দুই হতে পারে। তাই লেখার সময় সেই দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
অনেকে লেখার মাধ্য়মে তথ্য় পেতে চান। তাই আপনার লেখাকে তথ্য়সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করুন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্য প্রদান বলতে তথ্যের ব্যখ্যা বিশ্লেষণ ইত্যাদি ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এর পাশাপাশি, আপনি যদি গল্প বা কবিতা লিখতে চান, সেক্ষেত্রে কল্পকাহিনীতে গল্পের দৃশ্যপট কল্পনা করার চেষ্টা করুন। আর কবিতার ক্ষেত্রে কবিতার ছন্দ এবং ভাবের গভীরতা উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন।
এই সহজ কিছু পদ্ধতি মেনে চললেই আপনার লেখা দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে সহজেই।