নয়াদিল্লি : আমেরিকার উদ্দেশে উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( PM Narendra Modi ) । প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ নানা কারণে। লম্বা বিমানযাত্রার পর রাতে আমেরিকা পৌঁছবেন মোদি।  তিনদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রীর ঠাসা কর্মসূচি। এবার বিশ্ব যোগ দিবসও মার্কিন মুলুকেই কাটাবেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এবার অনেকগুলি চুক্তি সাক্ষরিত হতে পারে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুদ করতে পারে এবার মোদি বাইডেন সাক্ষাৎ, এমনটাই ধারণা কূটনৈতিক মহলের। 


ঠাসা সফরসূচি প্রধানমন্ত্রীর


মোদির এবার ঠাসা সফরসূচি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ২২ জুন । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার মার্কিন সফরে গিয়েছেন। তবে এবারের বৈঠকের বিশেষ গুরুত্ব হল,এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ আলোচনার জন্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মোদি - বাইডেন ।


 ২১ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।  এবার জাতিসংঘের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day )উদযাপনে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।  মোদি দেখা করবেন প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে। এছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। এবার সফরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়া। তাঁর এই বক্তৃতা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিনিই হতে চলেছেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী (PM Modi )যিনি United States Congress -এর যৌথ অধিবেশনে এ নিয়ে দু'বার বক্তব্য পেশ করবেন। এর আগে  এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি  তিনবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ সভায় ভাষণ দিয়েছেন।       

আরও পড়ুন :


মোদির আমেরিকা সফরে বিক্ষোভের ছায়া, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ, বিতর্কিত গুজরাত তথ্যচিত্রের প্রদর্শন          


      ২০১৬ সালে, মোদি ষষ্ঠ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেন। জওহরলাল নেহরু ছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ১৯৪৯ সালে হাউস এবং সেনেটে আলাদাভাবে ভাষণ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রাজীব গাঁধী ১৯৮৫ সালে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেন।  পি.ভি. নরসিমা রাও ভাষণ দেন ১৯৯৪ সালে।  অটল বিহারী বাজপেয়ী ২০০০ সালে  এবং মনমোহন সিংহ ২০০৫ সালে ভাষণ দেন।  


এবার জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা।