কলকাতা : শুভ বিজয়া (Subho Bijaya)। বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যায় বিজয়ার প্রণাম থেকে কোলাকুলি। তবে, এসব কিছুই যেন কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায় মিষ্টিমুখ না করানো হলে। বহু মানুষ এই সময়ে বাড়িতে নিজেই মিষ্টি বানিয়ে ফেলেন। আর বিজয়া দশমীর মিষ্টিমুখ সম্পূর্ণ হয় না নারকেল নাড়ু না থাকলে। নারকেলের সঙ্গে গুড় বা চিনি, যেটা পছন্দ তা দিয়েই খুব সহজে বানিয়ে ফেলতে পারবেন সুস্বাদু নারকেল নাড়ু। একবার চোখ বুলিয়ে দেখে নিন কীভাবে বাড়িতে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন নারকেল নাড়ু। 


আরও পড়ুন - শুভ বিজয়ায় মিষ্টিমুখ করাতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু গোকুল পিঠে


বাঙালি বাড়ি মানেই সেখানে নারকেল নাড়ু থাকবেই। অনেক বাড়িতে বয়স্ক ঠাকুমা দিদারা বয়ামে করে নারকেল নাড়ু তৈরি করে রেখে দিতেন। আর যখনই নাতি নাতনির ইচ্ছে হত, বয়াম খুলে টুক করে মুখে পুরে দিত সেই সুস্বাদু নারকেল নাড়ু। কিন্তু আজকের এই ব্যস্ত দিনে বাড়িতে এই সমস্ত মিষ্টি তৈরির রেওয়াজ যেন কোথাও ম্লান হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিজয়া দশমীতে তো নারকেল নাড়ু ছাড়া চলবে না। দোকানের তৈরি নারকেল নাড়ুর থেকে অনেক বেশি সুস্বাদু বাড়ির তৈরি নাড়ু। উপকরণও খুবই সামান্য লাগে। সহজেই তৈরি করে ফেলা যায়। 


নারকেল নাড়ু তৈরি করতে কী কী লাগবে?
১. কুড়িয়ে নেওয়া নারকেল।
২. গুড়
৩. এলাচ
৪. ঘি


আরও পড়ুন - ২০২২-এ কবে থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজো? মহালয়া থেকে দশমী কোন দিন পড়ছে জেনে নিন বিশদে


কীভাবে খুব অল্প সময় এবং খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করে ফেলবেন নারকেল নাড়ু-


একটি ননস্টিক পাত্র নিতে হবে। মাঝারি আঁচে গ্যাসে বসিয়ে প্রথমে তাতে গুড় জ্বাল দিতে থাকুন। গুড় জ্বাল দেওয়া হলে তাতে কুড়িয়ে রাখা নারকেল দিয়ে দিন। এবার মাঝারি আঁচে তৈরি করতে থাকুন। গুড়ের সঙ্গে নারকেল মিশিয়ে একটানা নাড়তে থাকুন। খেয়াল রাখবেন, যেন কড়াইতে লেগে পুড়ে না যায়। পুড়ে গেলেই স্বাদ বদলে যাবে। এবার গুড়ের সঙ্গে নারকেল ভালো করে মিশে ঘন ঘন হয়ে গেলে তাতে ইচ্ছে হলে এলাচগুঁড়ো দিতে পারেন। গ্যাস থেকে পাত্র নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। তবে, বেশিক্ষণ ঠান্ডা করলে শক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই অল্প ঠান্ডা হলেই হাতের তালুতে ঘি মাখিয়ে নিয়ে নাড়ুর আকারে গড়ে তুলুন। আর প্রিয়জনদের মিষ্টিমুখ করান।