Foot Care Tips: শীতের মরসুমে পা ফাটার (Cracked Foot) সমস্যা অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে সতর্ক না হলে মুশকিল। ক্রমশ পা ফাটার সমস্যা বাড়তেই থাকবে। তাই মরসুমের প্রথম থেকেই পায়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাহলেই পা ফাটার সমস্যা কমতে পারে। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই পা ফাটার সমস্যা দূর করা যায়। এক্ষেত্রে কী কী করলে কম সময়ে উপকার পাবেন, সেগুলো দেখে নিন। 



  • পা ফাটার প্রবণতা যাঁদের খুব বেশি তাঁরা পা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। হাল্কা গরম জলে সামান্য লিকুইড সোপ কিংবা শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর নরম ব্রাশ বা পিউমিক স্টোন দিয়ে ঘষে পা পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে পায়ের গোড়ালির অংশ ফেটে যায়। সেক্ষেত্রে পায়ের গোড়ালির অংশই যত্ন নিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। আর এই গোড়ালিতে বেশি নোংরা জমে যায়। তাই পা ফাটার সমস্যা কমানোর ক্ষেত্রে পা পরিষ্কার করা সবচেয়ে বেশি দরকার।

  • পা ফাটার সমস্যা কমাতে লাগাতে পারেন পেট্রোলিয়াম জেলি। এছাড়াও লাগাতে পারেন অলিভ অয়েল। তার সঙ্গে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে ক্রিম লাগিয়ে রাখবেন। খালি পায়ে হাঁটা একেবারেই চলবে না। এছাড়াও পারলে মোজা পরে থাকুন। এই নিয়মগুলো মেনে চললে পা ফাটার সমস্যা দ্রুত কমবে। 


শীতের মরসুমে শুধু পা নয়, কনুই, হাঁটু, ঠোঁট এইসব অংশও সঠিক ভাবে যত্ন না নিলে ফেটে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সঠিক ভাবে যত্নের প্রয়োজন। ঠোঁটের ক্ষেত্রে সুগার স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। বাড়িতেই চিনির গুঁড়ো এবং মধু আর সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে এই সুগার স্ক্রাব তৈরি করতে পারবেন। এই একই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন কনুই এবং হাঁটুতে। নিয়মিত ভাবে এই স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষ এবং শুষ্ক ভাবে অনেকটাই কমতে পারে। 


শীতের মরসুমে ত্বকের যত্ন- শীতের মরসুমের শুরু থেকেই খুব ভালভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত ভাবে ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। একই সঙ্গে স্ক্রাব করাও প্রয়োজনীয়। শীতের সময় অনীহা করে ত্বক পরিষ্কার রাখবেন না, এটা একেবারেই করবেন না। ত্বক ভালভাবে পরিষ্কার রাখা খুবই দরকার। নাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্রন এবং পিগমেন্টেশনের সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই শীতের মরসুমে ত্বক ময়শ্চারাইজিং করার সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার রাখাও প্রয়োজন। 


আরও পড়ুন- পিয়ার্সিং করার আগে এবং পরে কোন কোন বিষয়ে অতি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন? দেখে নিন