Piercing: পিয়ার্সিং (Piercing) করা এখন ফ্যাশন ট্রেন্ডিং। আগে হয়তো শুধু কানে কিংবা নাকে পিয়ার্সিং (Nose Piercing) করানোর চল ছিল। তবে এখন ট্রেন্ড বদলেছে। কান এবং নাকের পাশাপাশি অনেকেই ঠোঁটে পিয়ার্সিং করান। কারও বা পছন্দের পিয়ার্সিং করার জায়গায় ভ্রূপল্লবের উপরের অংশ। পিয়ার্সিং করতে গেলে বেশ ব্যথাও লাগে। কিন্তু তারপর যত্ন সহকারে এইসব পিয়ার্সিং রাখলে দেখতেও বেশ ভাল লাগে। আপনার লুকে একটা বদল আনে এইসব পিয়ার্সিং। তবে পিয়ার্সিং করার আগে এবং পরে বেশ কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। তাই একনজরে দেখে নিন পিয়ার্সিং করার আগে এবং পরে কোন কোন দিকে খেয়াল রাখবেন।
- যে জায়গা থেকে পিয়ার্সিং করাবেন, তার ব্যাপারে ভাল করে খোঁজখবর নেওয়া প্রয়োজন। এক বা একাধিক পিয়ার্সিং করানোর পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই নামজাদা প্রফেশনাল পিয়ার্সিং আর্টিস্টদের কাছে যান। হাতে সময় নিয়ে পিয়ার্সিং করানো প্রয়োজন। তাড়াহুড়োয় সমস্যা বাড়তে পারে। ভাল করে খোঁজ খবর নিয়ে তবে পিয়ার্সিং করাতে যান।
- যে অংশে পিয়ার্সিং করাতে যাচ্ছেন তার ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা জেনে নিন। যিনি আপনার পিয়ার্সিং করবেন, তিনি প্রফেশনাল কিনা, তাঁর রেটিং কেমন এসব জেনে নিয়ে তবেই পার্লারে যান। যেকোনও পথচলতি দোকানে গিয়ে পিয়ার্সিং না করাই মঙ্গলের।
- পিয়ার্সিং করার যন্ত্রপাতি এবং যে গয়না পরবেন তা পরিষ্কার রাখুন। পিয়ার্সিং করার পর সেই অংশ ভালভাবে পরিষ্কার না রাখলে ইনফেকশন বাড়বে। তাই সতর্ক থাকুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ব্যথা কমলেও অস্বস্তি থাকতে পারে। বাড়াবাড়ি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
পিয়ার্সিং করানোর আগে এবং পরে একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কিছু নিয়ম মেনে চললে পরবর্তীকালে আপনাকে আর কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। আমাদের দেশের পাশাপাশি বিশ্বের অনেক প্রান্তেই দীর্ঘদিন ধরে পিয়ার্সিং করানোর চল রয়েছে। আগে হয়তো পোশাকি নাম ছিল না। তবে হালফিলে ফ্যাশন ট্রেন্ডে এই পিয়ার্সিং করানো এখন ইন। যদি দেখেন পিয়ার্সিং করার অনেকদিন পরে পর্যন্ত ব্যথা রয়েছে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যে অংশে পিয়ার্সিং করাবেন সেখানে দ্রুত ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সতর্ক থাকুন এবং সেই জায়গা পরিষ্কার রাখুন। সামান্য সমস্যা হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি আপনার স্কিন সেনসিটিভ হয় বা কোনও অ্যালার্জি কিংবা শারীরিক কোনও সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে আগে জেনে নিন যে আদৌ পিয়ার্সিং করানো আপনার জন্য কতটা ঠিক হবে। তারপর পিয়ার্সিং করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন- বাড়ি হোক বা অফিস, কাজের নামে অনীহা, ক্লান্তির জেরে কমছে পারফরম্যান্স