কলকাতা: ফেলুদার মগজাস্ত্রের কথা মনে আছে? আজ সেই মগজাস্ত্রেরই 'শরীরস্বাস্থ্য' নিয়ে ভাবনার দিন। সোজা কথায়, 'ওয়ার্ল্ড ব্রেন ডে (world brain day)।' মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটিরও যে সবিশেষ যত্নআত্তির প্রয়োজন আছে, সে কথা মনে করিয়ে দিতেই এই উদযাপনের ব্যবস্থা 'ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ নিউরোলজি'-র।
একটুকরো ইতিহাস...
১৯৫৭ সালের ২২ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় 'ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ নিউরোলজি'। ঠিক ৫৭ বছর পর, ওই ২২ জুলাই-ই ঠিক হয় দিনটি 'ওয়ার্ল্ড ব্রেন ডে' বলে উদযাপিত হবে। নির্দিষ্ট করে বললে সালটা ছিল ২০১৪। সাধারণ মানুষের মধ্যে মস্তিষ্ক ও তার স্বাস্থ্য-পরিচর্যা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এ বছরের থিম...
অতিমারী, যুদ্ধ, জলবায়ুর ভয়ঙ্কর পরিবর্তন এবং একগুচ্ছ রোগের দাপটে মানবমস্তিষ্ক সার্বিক ভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে। সামগ্রিক এই প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই চলতি বছর 'ওয়ার্ল্ড ব্রেন ডে'-র থিম, 'আমাদের মস্তিষ্ক, আমাদের ভবিষ্যৎ।' কঠিন পরিস্থিতিতে কী ভাবে তরতাজা রাখা যাবে মানবশরীরের এই অত্যন্ত জরুরি অঙ্গটিকে? স্নায়ুবিশেজ্ঞরা এ জন্য বিশেষভাবে জোর দিচ্ছেন লাইফস্টাইলের বা জীবনের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসের উপর। যেমন খাবারদাবার। তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে আনা শুধু ডায়াবিটিস বা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্যই যে জরুরি তা নয়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্যও এই ধরনের খাবারের পরিমাণ নির্মম ভাবে ছেঁটে ফেলতে হবে, পরিবর্তে বাড়াতে হবে ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া। স্নায়ুবিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, সবুজ শাকসব্জি বেশি খেলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি খানিকটা কমে যায়। তবে শুধু খাওয়া নয়, নিয়মিত শরীরচর্চাও মস্তিষ্ককে বাড়তি শক্তি জোগায়। কাজেই এক্সারসাইজ ভুূললে চলবে না। সঙ্গে ধূমপান বন্ধ, সামাজিক মেলামেশা বাড়ানো এবং অন্য কোনও অসুস্থতা থাকলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দিকে নজর দেওয়ার মতো পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সবশেষে একটি বিষয় মনে করাচ্ছেন তাঁরা।
ঘুমের সঙ্গে আপস নয়। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম অতি অবশ্যই জরুরি। টানা এতে খামতি থাকলে বড়সড় বিপদ ঘনাতে পারে। কাজেই সাবধান।