কলকাতা: পুজোর চারদিন ডায়েট (Diet) ভুলে বেলাগাম খাওয়া-দাওয়া চলতেই থাকে। সপ্তমীতে লাঞ্চে মাটন তো অষ্টমীর ব্রেকফাস্টে লুচি ছোলার ডাল। তারপর নবমীর বিরিয়ানি আর দশমীর মিষ্টিমুখ তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে ওজন বেড়ে একেবারে যা-তা কাণ্ড। তবে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া কিন্তু কঠিক কাজ নয়। একটু নিয়ন্ত্রণেই মুশকিল আসান সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী করবেন। (Diet Tips)


পর্যাপ্ত জল খান: প্রথমেই প্রচুর জল খান। রাত জেগে ঠাকুর দেখা, কম ঘুম, ভাজাভুজি খাওয়ায় শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। তাই দিনে অন্তত ৩ লিটার জল খান এখন কদিন। বাড়িতে বানানো  ফলের রস, ডিটক্স ওয়াটারও খেতে পারেন। এতে শরীরে জলের ঘাটতি কমবে। শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিনও বেরিয়ে যাবে।


বিশ্রাম প্রয়োজন: পুজোর সময়ে স্বাভাবিকভাবেই ঘুমের ঠিক ঠিকানা থাকে না। তাই এবার রাতে নিয়ম করে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমিয়ে শরীর এবং মাথাকে বিশ্রাম দিন। এতে খাবার হজম হবে। শরীরের ক্লান্তি দূর হবে।


পুরনো অভ্যাসে ফিরুন: পুজোর সময় প্রচুর হাঁটাহাঁটি হয় বটে, কিন্তু সেই ঢিমে তালে হাঁটায় কিন্তু আদৌ কোনও কাজ হয় না। তাই এখন কদিন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। যাঁরা নিয়মিত জিম বা যোগব্যায়াম করেন বা হাঁটতে যান তারাও ধীরে ধীরে অভ্যাসে ফেরত আসুন। এতে বাড়তি মেদ কমতে সাহায্য করবে।


মিষ্টি বাদ: এবার আসা যাক খাওয়া দাওয়ায়। পুরনো ওজনে ফিরতে এবার খাদ্যতালিকা থেকে মিষ্টি বাদ দিন। চিনি, চাটনি, পায়েস, কোল্ড ড্রিঙ্ক, মিষ্টি, প্যাকেটজাত জুস এসব বাদ দিলেই ওজন ঝরানো সহজ হবে।


লো কার্ব ডায়েট জরুরি: কার্বোহাইড্রেট খাবার যেমন ময়দা, ভাত এসব অন্তত এক সপ্তাহ খাদ্যতালিকা থেকেই বাদ দিলেই ম্যাজিকের মতো ফল নজরে পড়বে। বিস্কুটও খাবেন না। একটা বিস্কুটে প্রচুর পরিমাণ ময়দা, চিনি থাকে। তাই অজান্তে এই ভুল করবেন না। 


কী কী খাবেন? খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফল, দই, লেবু, গ্রিন টি রাখুন। দুধ চিনি দেওয়া চা, কফি আপাতত কদিন না খাওয়াই ভাল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এমন খাবার খান। যে ফলে জলের পরিমাণ বেশি যেমন তরমুজ, শশা ইত্যাদি খেতে পারেন বেশি করে। 


ঘড়ি ধরে খাওয়া-দাওয়া: পুজোর মরশুমে সময়ের ঠিক থাকে না, তাই এবার একটু টাইম ম্যানেজমেন্ট করুন। লাঞ্চ সেরে নিন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। রাত  আটটার মধ্যে ডিনার করে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সারাদিন প্রতি দু-ঘণ্টা অন্তর অল্প খাবার খান। পেট খালি রাখবেন না।