সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী influenza আক্রান্তের নিরিখে দেশে পশ্চিমবঙ্গের স্থান চতুর্থ। দিনকে দিন ভারতে বাড়ছে influenza আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে এই রোগের প্রকোপ ঠেকাতে বছরে দুবার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্ত ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা NCDC। এই ভ্যাকসিন H1N1, H3N2 সহ ৪ ধরনের influenza ভাইরাস ঠেকাতে কার্যকরী।


শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায় জানালেন,  ICMR ও পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সহযোগিতায় দেশে influenza নিয়ে নজরদারি বাড়াচ্ছে NCDC। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের ৩০টি NCDC সেন্টার থেকে তথ্য় নিয়ে বছরভর নজরদারি চলছে।


সারা দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা চিত্র 


পরিসংখ্য়ান বলছে, ২০১৮ সালে দেশে influenza আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২৬৬ জন। তার মধ্য়ে ১ হাজার ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 
২০১৯ সালে আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৮ জন। মৃত্য়ু হয় ১হাজার ২১৮ জনের। ২০২০ সালে সংখ্য়াটা কমে দাঁড়ায় ২হাজার ৭৫২ জন। ৪৪ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু ২০২২ সালে এক লাফে সংখ্য়া বেড়ে হয় ১৩ হাজার ২০২ জন। ৪১০ জনের মৃত্যু হয়। 
২০২৩ সালে আক্রান্তের সংখ্য়া সামান্য় কমে হয় ৮ হাজার ৯৭। মৃত্য়ু হয় ১২৯ জনের।


বঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা চিত্র 


২০২২ সালে রাজ্যে influenza আক্রান্ত হন ৬৫৯ জন। কারও মৃত্য়ু হয়নি। ২০২৩ সালে আক্রান্ত হন ৫২৮ জন।


মাইক্রোবায়োলজিস্ট সুমন পোদ্দার মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ অনেকেরই হয়। তবে  এই কেসগুলোর খুব কম শতাংশই রিপোর্টেড হয় । এর  প্রধান কারণ হল ভাইরাসকে চিহ্নিত করার যে পরীক্ষা রয়েছে, তা খুব ব্যয় সাপেক্ষ। তাই সবাই করতে পারে না। 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর পর্যন্ত influenza-র তথ্য দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তাই রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট নথি নেই বলে দাবি কেন্দ্রের। 


আরও পড়ুন :


 'রাজ্য়ের মন্ত্রীরা যদি এটা পারে, শেখ শাহজাহান অবশ্য়ই করছে' বিস্ফোরক বৈশাখী 


ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের লক্ষণ



  • জ্বর বা ঠাণ্ডা অনুভব করা

  • কাশি

  • গলা ব্যথা

  • সর্দি বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া

  • পেশী বা শরীরে ব্যথা অনুভব হওয়া 

  • মাথা ব্যথা

  • ক্লান্তিভাব

  • কারও কারও বমি এবং ডায়ারিয়া হতে পারে। যদিও এই লক্ষণটি প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।