কলকাতা : গরমে কনকনে ঠান্ডা জল গায়ে ঢালার স্বস্তিই আলাদা। তবু অনেকেই গরম জল দিয়ে স্নান করতে পছন্দ করেন, এমনকি গ্রীষ্মেও। বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, ঠান্ডা জলে স্নান বেশি আরামদায়ক হলেও, হালকা গরম জলে স্নান বেশি উপকারী। প্রবল গ্রীষ্মেও স্বস্তি দিতে পারে সামান্য গরম জলে স্নান। বিশেষত যদি গরম জলে মিশিয়ে নেওয়া যায় এসেনশিয়াল অয়েল। 



  •  সারাদিন কাজের জন্য ডেস্কে বলে কাজ করেন অনেকেই । মাথা নিচু করে স্মার্টফোনের দিকে তাকাতে হয়। এতে আমাদের কাঁধ এবং ঘাড়ের পেশীতে ব্যথা হয় এবং পেশীগুলিতে শক্তভাব আসে। টান অনুভব হয়। গরম জলে পেশীগুলির এই শক্তভাব বা স্টিফনেস দূর হয়। পেশী  শিথিল করতে সাহায্য করে। এতে ব্যথা কমতে পারে।

  • রাতে অনেকে এয়ার কন্ডিশনার চালু রেখে ঘুমান। শহরাঞ্চলে এয়ার কন্ডিশনের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। পরের দিন সকালে দেখা যায় হালকা গলা ব্যথা, হাঁচি এবং কাশি হচ্ছে। এই সময়  যদি হালকা গরম জলে স্নান করা যায়, তাহলে দেখা যায় সর্দিভাব কেটে গিয়েছে।

  • কেউ ঘুমানোর আগে গরম জলে স্নান সারলে বোঝা যায় তা কতটা আরামদায়ক । এই স্বস্তির স্নান  আরও ভালভাবে ঘুমোতে সাহায্য করে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন ? ব্যক্তিগত বা পেশাগত কারণে খুব বেশি চাপে আছেন ?  তবে রাতে গরম জলে স্নান আপনাকে ভাল রাখবে। টেনশন কমিয়ে  মন শান্ত করতে সাহায্য করবে।

  • গরম জলে স্নান বন্ধ হয়ে যাওয়া রোমকূপ পরিষ্কার করে। ত্বক তরতাজা রাখে। ব্ল্যাক ও হোয়াইটহেডস দূরে রাখে।

  • মেনস্ট্রুয়েশনের ক্র্যাম্প খুব যন্ত্রণাদায়ক। এই সময় গরম জলে স্নান খুবই স্বস্তি দেয়। মাইগ্রেনের মাথাব্যথায় যাঁরা কষ্ট পান, তাঁরা যদি ঠান্ডা জলে স্নান না করে, একটু তাতিয়ে নেন, তাহলে অনেকটাই ব্যথা কমায়।

  • কাজের জন্য হোক বা ব্যক্তিগত জীবনের কোনও সমস্যা, আধুনিক জীবনযাত্রায় মানসিক চাপ খুবই সাধারণ ব্যাপার। এক্ষেত্রেও অনেকটাই উপকারী গরম জল। মন ও শরীর শান্ত করার জন্য গরম জলে স্নানের জুড়ি নেই। সম্পূর্ণ স্বস্তি হয়ত আসে না, তবে শারীরিক স্বস্তি তো দেয়ই গরম জল।

  • বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সারাদিন কাজের পর ঝিমিয়ে পড়া  মনকে সতেজ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল গরম জলে স্নান।গরম জলে স্নান ত্বককে হাইড্রেট করে এবং তাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য ময়শ্চারাইজড রাখে। ত্বকের কোষগুলিতে অক্সিজেনের প্রবাহও হয় ভাল ভাবে, যার ফলে ত্বক নরম এবং কোমল হয়।