নয়া দিল্লি: শ্রীকৃষ্ণের (Shree Krishna) জন্মদিন অর্থাৎ জন্মাষ্টমী (Janmashtami) পালিত হয় সারা দেশজুড়ে। শাস্ত্রমতে, ভাদ্রমাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে ও রোহিণী নক্ষত্রে জন্ম হয়েছিল শ্রীবিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রী কৃষ্ণের। সেই থেকেই জন্মাষ্টমী পালন করার প্রথা চলে এসেছে। এবছর ১৮ অগাস্ট সারা দেশজুড়েই পালিত হবে জন্মাষ্টমী। অনেক প্রদেশে এই দিনে 'দহি হান্ডি'ও পালন করা হয়। উত্তরভারতের একাধিক এলাকায় ছোট্ট কৃষ্ণ মাখন চুরি করে খেত বলে এই দিনটিকে বিশেষ নাম দিয়ে পালন করা হয়।                                                                 


এ বছর সপ্তমী তিথি ১৮ আগস্ট রাত ০৯.২০ পর্যন্ত চলবে এবং এর পরে অষ্টমী তিথি শুরু হবে। যা পরের দিন অর্থাৎ ১৯ আগস্ট রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। অনেকেই জন্মাষ্টমীর আগের দিন থেকে নিরামিষ আহার করেন। জন্মাষ্টমীর দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপোস করে থাকেন। হরিনাম জপ, শ্রীকৃষ্ণ লীলা শ্রবণ ও ভগবত গীতা পাঠও করে থাকেন অনেকে। নিয়ম হল- জন্মাষ্টমীর পরের দিন সকালে স্নান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পারণ মন্ত্র পাঠ করে ব্রত সমাপ্ত করার।                                        


আরও পড়ুন, সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণা, সোনারপুরে আটক চিকিৎসক


প্রথমে বলতে হবে, "সর্বায় সর্বেশ্বরায় সর্বপতয়ে সর্বসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।" শেষে বলতে হবে, ""ভূতায় ভূতেশ্বরায় ভূতপতয়ে ভূতসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।" জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের জন্য উপকরণ হিসেবে ফুল, আতপ চাল, ফলের নৈবেদ্য, তুলসীপাতা, দূর্বা, ধূপ, দীপ, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, পাট, বালি, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধুপক্ক, আসন-অঙ্গুরী-সহ পুজোর আয়োজন করতে হয়।                           


তবে অনেকে গোপালকে লাড্ডুও ভোগে দেন। তবে অবশ্যই তা সকালে দিতে হবে। রাতের পুজোয় সেক্ষেত্রে নিয়ম হল চিনি মিছরি এবং শুকনো ফল নিবেদন করা। পুরোহিতরা বলে থাকেন, ব্রতভঙ্গের পর নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হয়। এই দিনে কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করলে শ্রীকৃষ্ণের কৃপা পাওয়া যায়। এই ব্যবস্থাগুলি জন্মাষ্টমিতে মেনে চললে মিলবে সুফল দূর হবে সমস্যা, এমনটাই বলা হয়ে থাকে।