কিডনি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। এটি রক্ত পরিষ্কার করা, টক্সিন এবং অতিরিক্ত জল অপসারণ করা, খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং হরমোন উৎপাদনের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। কিন্তু কিডনির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য এবং অসুবিধা হল, এটি কোনও সমস্যা ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে এবং যখন সমস্যাটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তখন রোগ যথেষ্ট বেড়ে যায়। এই বিষয়ে এবিপি নিউজকে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি উপেক্ষা করলে ভবিষ্যতে গুরুতর কিডনি রোগ হতে পারে।

প্রস্রাবের পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ দিন

  • কিডনি বিকল হওয়ার প্রথম এবং সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল প্রস্রাবের পরিবর্তন
  • গাঢ় বা ফেনাযুক্ত প্রস্রাব
  • খুব কম বা খুব বেশি প্রস্রাব
  • রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন পড়লে
  • প্রস্রাবে রক্ত এলে

মুখ এবং পা ফুলে যাওয়া-

কিডনি নষ্ট হয়ে গেলে, অতিরিক্ত জল শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না। যার ফলে পা, গোড়ালি, হাত এবং চোখের চারপাশে ফোলাভাব দেখা দেয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যদি মুখে ফোলাভাব দেখতে পান, তাহলে এটিকে হাল্কাভাবে নেবেন না।

ক্রমাগত ক্লান্তি এবং দুর্বলতা-

কিডনি খারাপ হলে, রক্তে উপস্থিত বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করা যায় না, যার কারণে শরীর অলস এবং দুর্বল বোধ করতে শুরু করে। এছাড়াও, লোহিত রক্তকণিকার ঘাটতি (রক্তাল্পতা) হতে পারে, যা ক্লান্তি বাড়ায়।

খিদে কমা এবং বমি বমি ভাব-

কিডনির সমস্যার কারণে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়, যার ফলে খিদে কমে যায় এবং বমি বমি ভাব এবং মুখে ধাতব স্বাদ দেখা দেয়।

ত্বকের চুলকানি এবং শুষ্কতা-

কিডনি খনিজ এবং পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখে। যদি এটি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে শরীরে ফসফরাস বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে ত্বকে চুলকানি এবং শুষ্কতা দেখা দেয়।

শ্বাসকষ্ট-

কিডনি বিকল হলে শরীরে জল জমা হতে পারে এবং ফুসফুসে পৌঁছাতে পারে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট বা বুকে ভারী ভাব দেখা দিতে পারে।

কীভাবে সুস্থ রাখবেন কিডনি ?

  • প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করুন
  • নুন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান
  • রক্তচাপ এবং চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান