কলকাতা : বাড়ছে বয়স আর কমছে ঘুম (sleep deprivation)? শুয়ে পড়ে ঘুমের চেষ্টা করলেও উশখুশেই কেটে যাচ্ছে সময়? দৈনন্দিন জীবনে ক্রমশ বাড়ছে চাপ, চিন্তা। যার প্রভাব পড়ছে অনেকেরই জীবনে। ঘুমের মেয়াদ কমে যাচ্ছে অনেকেরই। এমন সমস্যায় ভুগলে অবশ্য সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাঝ বয়সী বা তার থেকে বেশি বয়সীদের ঠিক কতক্ষণ ঘুম প্রয়োজন, সেটা সামনে তুলে ধরেছে একটি নতুন সমীক্ষা (research)।
কম-বেশি ঘুমে বাড়ছে বিপদ
প্রসঙ্গত, ঘুমোনোর চেষ্টা করলেও চোখে পাতা এক করতে না পেরে অ্যাক্সাইটি, ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা বাসা বাঁধছে। এই অবস্থায় কেমব্রিজ ও ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষক দল ৩৮ থেকে ৭৩ বছর বয়সীদের নিয়ে সমীক্ষা চালায়। ৫ লক্ষ মানুষের ওপর নতুন সমীক্ষা চালানোর পর সমীক্ষকরা জানাচ্ছেন ৭ ঘণ্টা ঘুম একান্ত প্রয়োজন। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে ঘুমের যোগ নিবিড় বলেই জানাচ্ছেন সমীক্ষকরা। জোর দিচ্ছেন পর্যাপ্ত ঘুমে।
কীভাবে সমস্যার সমাধান
তবে শুধু কম ঘুমই নয় বেশি ঘুমের ক্ষেত্রেও একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন তারা। ঘুমের নির্দিষ্ট সময় তৈরি, রাতে চা-কফি নেশার দ্রব্য এড়ানো ও অল্প ব্যায়ামের ওপর জোর দিতে বলছেন সমীক্ষকরা। জোর দিতে বলছেন স্ক্রিন-টাইম কমানোর জন্য। জীবনশৈলীতে অল্প পরিবর্তন করার পরেও তা না বদলালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন সমীক্ষকরা।
ভাল ঘুমের টিপস-
অন্য ঘরে চার্জ করার জন্য ফোন রাখুন। নিজেকে আপনার ফোন ছাড়াই বিছানায় যেতে দিন। যদি কোন জরুরী অবস্থা হয়, আপনি সকালে এটি সম্পর্কে জানতে পারবেন। বেডরুম থেকে ফোনটি সরিয়ে অন্য ঘরে যেমন রান্নাঘরে চার্জ করার জন্য রাখলে আপনার ঘুমের উপর এর প্রভাব কমানো সম্ভব।
আপনার ফোনের অ্যালার্ম ব্যবহার করার পরিবর্তে একটি অ্যালার্ম ঘড়ি পান।
রাতের খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান।
ঘুমের আগে মোবাইলে খুটখাট বা সিনেমা দেখা এড়িয়ে যান।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
অ্যাসিড ফর্ম করতে পারে এমন খাবার রাতে খাবেন না। এতে ঘুমে ব্যাঘাত হয়। অনেকেরই শুয়ে পড়লে খাবার মুখ দিয়ে উঠে আসে।
যাঁদের ঘুমের সমস্যা আছে তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হালকা ডোজের ওষুধ খেতে পারেন।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে চা কফি খাবেন না।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন- বিদ্যুৎ চমকালে কি স্মার্টফোন বন্ধ করে দেওয়া জরুরি?